দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : লক্ষ্মীপুরে বিয়ের দাওয়াতের খাবারে একটি দই টক হওয়ায় বর ও কনেপক্ষের হামলায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। বুধবার (১৭ মে) দুপুরে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের কুটুমবাড়ি চাইনিজ রেস্টুরেন্ট ও পার্টি সেন্টারে ঘটেছে এ ঘটনা। এদিকে, এ ঘটনায় বুধবার সন্ধ্যায়ই পার্টি সেন্টারের স্বত্ত্বাধিকারী রাকিবুজ্জামান রাকিব বাদি হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ১২ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। শেষ খবর অনুযায়ী, হামলা ও সংঘাতে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এরা হলেন গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন কনের বাবা খোকন ড্রাইভার ও খালাতো ভাই রুবেল হোসেন। বাকি আসামিদের নাম-পরিচয় জানায়নি পুলিশ। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পর লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
পুলিশ জানিয়েছে, পৌর শহরের শাহপুর এলাকার বৃষ্টি নামে এক মেয়ের সঙ্গে সদর উপজেলার দালাবাজার ইউনিয়নের মহাদেবপুর গ্রামের বাসিন্দা আল-আমিনের বিয়ে হয়। সে উপলক্ষে পার্টি সেন্টারটিতে মধ্যাহ্নভোজসহ বিয়ের অনুষ্ঠানিক আয়োজন করা হয়েছে। প্রথম পর্বের খাওয়াতে একটি দই হয়েছে বলে কনেপক্ষের লোকজন অভিযোগ করেন এবং তর্কাতর্কি শুরু করেন। এ সময় ওই পার্টি সেন্টারের মালিক ও মামলার বাদি রকিবুজ্জামান রাকিব কনেপক্ষের লোকজনের সঙ্গে কথাবার্তা বলে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করতে থাকনে। এদিকে এ সময় কনেপক্ষের লোকজনের সঙ্গে বরপক্ষও উত্তেজিত হয়ে উঠে এবং উভয়পক্ষ মিলে পার্টিসেন্টারের কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এতে পার্টি সেন্টারের মালিক রাকিব, ম্যানেজার শাহাদাত হোসেন, বাবুর্চি রাসেল, পরান ও মাজেদসহ পার্টিসেন্টারের অন্তত ১৫ জন কর্মী আহত হন।
রাকিবুজ্জামান রাকিব বলেন, একটি মাত্র দই টক হওয়ায় বর ও কনেপক্ষে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হামলা করেছে। এতে আমিসহ আমার কর্মীরা আহত হয়েছে। আমি মামলা দায়ের করেছি। তবে এ বিষয়ে বর ও কনেপক্ষের কারো সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, পার্টি সেন্টারের হামলার খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থল থেকে হামলায় জড়িত ২ জনকে আটক করা হয়। পরে পার্টিসেন্টারের স্বত্ত্বাধিকারী রাকিবের করা মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
দেশকন্ঠ/অআ