• বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১  নিউইয়র্ক সময়: ০৩:১৮    ঢাকা সময়: ১৩:১৮
আজকের ভাবনা

শক্র ভয়ংকর

  • মতামত       
  • ২২ মে, ২০২৩       
  • ২৫৭
  •       
  • ২২:০৪:৪৭

• আনিস আহামেদ 
সভা-সভাবেশ করা, যারযার মত-পথ ও নীতির পক্ষে কথা বলা গণতান্ত্রিক অধিকার তথা মত প্রকাশের স্বাধীনতা। তবে কাউকে হত্যার হুমকি দেয়া দেশে দাঙ্গা হাঙ্গামার উস্কানী দেয়া আইনে নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ। এমনি এক জঘন্যতর কাণ্ড ঘটিয়েছে গত ১৯ মে রাজশাহী পুঠিয়া উপজেলার শিবপুর হাইস্কুলে মাঠে বিএনপির সামাবেশে রাজশাহী জেলা বিএনপি আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ। বক্তব্যে এক পর্যায়ে তিনি বলেন, আর ২৭ দফা, ১০ দফার মধ্যে আমরা নাই। এক দফা শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে পুনঃশ্চ বলেন, শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে। ২২ সেকেন্ডের সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। রাজনৈতিক দলের সমাবেশে একজন পদধারী নেতার উদ্ধত্য দেখে দেশবাসী যারপর নাই বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সর্বত্র চলছে প্রতিবাদ। প্রধানমন্ত্রী ও দলের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা হত্যার হুমকির প্রতিবাদে ২২মে সারা দেশে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠন গুলো বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করেছে।
 
এহেন বেআইনী যজ্ঞে হতবাক হয়ে মাননীয় হাইকোর্ট বেঞ্চ ২২মে জানতে চেয়েছে এই অপকর্মকারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়েছে কি-না বা তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে কি-না, সরকারী আইনজীবী আদালকে জানিয়েছে এ পর্যন্ত এমন ব্যবস্থা গৃহীত হয়নি। সর্বশেষে খবর অনুযায়ী একজন সংক্ষুদ্ধ ব্যক্তি আজ দুপুর ১২টায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজশাহীতে একটি মামলা রুজু করেছে। আইনের ধারাবাহিকতায় হয়তোবা এই অপরাধী শীঘ্রই গ্রেফতার হতে পারে। একজন রাজনৈতিক নেতা হঠাৎ করে এমন জঘন্য কথা বলতে পারে না যদি না তাদের দলের এ ধরনের মানসিকতা বিদ্যামন না থাকে বা তারা দলের উচ্চ পর্যায়ে থেকে নির্দেশিত না হয়।
 
কিন্তু সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করলে প্রতিভাত হবে এ ধরনের উস্কানীমূলক কথাবার্তা ও আচরণ সুপরিকল্পীত অর্থ অর্থপূর্ণ। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২১ আগস্ট গ্রেনেড হত্যা মামলায় একজন দন্ডপ্রাপ্ত আসামী। আদালতে সাক্ষ্য প্রমানে সুস্পষ্ট হয়েছে যে, ২১ আগস্ট ২০০৪, ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউ এর আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সহ দলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দকে হত্যা উদ্দেশ্যেই তদানিন্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমান এই হামলার ঘটনায় সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলো, যাতে পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগকে সংযুক্ত করা হয়।
 
সম্প্রতি উচ্চ আদালতে সাতক্ষীরায় বিএনপি একাধিক স্থানীয় নেতা ও সাবেক এমপি দন্ডপ্রাপ্ত হয়েছে শেখ হাসিনাকে প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে অপরাধের জন্য, অনুরূপ ঘটনায় পাবনায় ঈশ্বরদীতেও বিএনপির একাধিক নেতা দন্ডপ্রাপ্ত হয়েছে। বিএনপি নেতা কর্মীরা বারবার আরেকটি ১৫ আগস্ট ঘটানোর হুমকি-ধমকি দিয়েই চলছে। এ যে নিছক কথার কথা নয় তা বুঝতে কারোর অসুবিধার কথা নয়। প্রচলিত রাজনীতি ও গণতান্ত্রিক রীতিনীতিকে বিএনপি তখনই অভ্যস্ত ছিলোনা। বিএনপির জন্ম হয়েছে উর্দি পড়া ও জোরজবরদস্তি ক্ষমতা দখলকারী জেনারেল জিয়ার হাতে যে ব্যক্তি ১৫ আগস্ট হত্যাকান্ডের একজন এজাহারভ‚ক্ত আসামী। (মৃত্যুজনিত কারণে রেহাই প্রাপ্ত) তার অপরাধ আদালতে প্রমাণিত হয়েছে এবং রায়ে উল্লেখিত রয়েছে।
 
২০১৩-২০১৪ ও ২০১৫ সালে অগ্নি সন্ত্রাসের মাধ্যমে বিএনপির কর্মীরা সারাদেশে অগুনিত মানুষকে হতাহত করেছে এর নির্দেশদাতা ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এহেন অভিযোগে আদালতে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলার বিচার কার্য্য চলমান। 
 
দেশের গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার ধারাবাহিকাতায় ২০২৪ সালের শুরুতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে অংশগ্রহন করার মতন সাংগঠনিক অবস্থা ও জনপ্রিয়তা বিএনপি বিদ্যামন নেই এবং আসন্ন সংসদ নির্বাচনে বিএনপি জয়লাভ করতে না পারলে কোনোভাবেই বিএনপি’র অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না, কারন নীতিহীন ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের চেতানাকে ধারণ করে না এবং তারা রাষ্ট্রে ক্ষমতাকে তাদের লুটপাটের চর্চা পর্যবসিত করে যা তারা অতীতে একাধীকবার প্রমাণিত করেছে। দেশী বিদেশী সহযোগী কূয়েল সরবরাহ কমতে শুরু করেছে যা পর্যায়ক্রমে শূণ্যের কোঠায় চলে যাবে। এহেন পরিস্থিতি আচ করতে পেরে লন্ডনে পলয়নরত তারেক রহমান তাদের দুষ্ট পৃষ্ঠ পোষনকারীদের সহয়তায় এক ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র লিপ্ত। বিএনপি কৌশলে স্পষ্টতই বুঝা যায় তারা দেশে একটি অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতাকে নসাৎ করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়। অথবা বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দিতে কোনো আন্তর্জাতিক চক্রের ক্রীড়ানক হিসাবে তাদের ব্লুপ্রিন্ট বাস্তবায়নের দায়িত্ব নিয়েছে বিএনপি ও তাদের বর্তমান মিত্ররা।
 
বাংলাদেশের উন্নত ভবিষ্য নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত ২০৪১ সালের মধ্যে ‘উন্নত বাংলাদেশ ও স্মার্ট বাংলাদেশ’ গঠনের সুনিদিষ্ট লক্ষ্যকে বানচাল করার জন্য তারা ওঠেপড়ে লেগেছে। আশংকা হয় সামনের দিনগুলোতে তাদের জঘন্য তৎপরতা আরো ভয়াবহ হয়ে উঠতে। দেশ প্রেমিক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সকল দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে চলমান ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দাড়াতে হবে। কারণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে স্বপ্নদৃষ্ট সোনার বাংলা রূপায়নে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই।
লেখক : বার্তা সম্পাদক, উত্তরণ
 

  মন্তব্য করুন
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।