কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সারা দেশের ন্যায় কালীগঞ্জের বাজারেও পেঁয়াজ, আদা, রসুন, জিরা, হলুদ, মরিচ, দারচিনি, এলাচ, লবঙ্গসহ মসলাজাতীয় সব পণ্যের চাহিদা তুঙ্গে। চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে দামও। কয়েকটি মসলার দাম বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ। বাজারে এসব পণ্য কিনতে অস্বস্থিতে পড়ছে সাধারণ মানুষ। এলসি সংকটের পাশাপাশি পাইকারি ব্যবসায়ীদের রয়েছে সিন্ডিকেট। খুচরা বাজারে লাগামহীন দাম রাখলেও বাজার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা দুর্বল হওয়ায় ভুগতে হচ্ছে সাধারন ক্রেতাদের।
উপজেলার কালীগঞ্জ বাজার,জামালপুর বাসাইর বাজার, দোলান বাজার, নরুন বাজার, নাগরী বাজার, সাওরাইদ বাজার, ফুলদী বাজার, আওড়াখালি বাজারসহ কালীগঞ্জের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে আদার দাম। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় এখন বিক্রি হচ্ছে তিনগুণের বেশি দামে। গত বছরের এই সময়ে ৮০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে থাকা আদা এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়। তাছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়তি থাকায় কেনাকাটায় হিমশিম খাচ্ছে ক্রেতারা।
কালীগঞ্জ বাজার পর্যবেক্ষনে দেখা যায়, গত বছর যেখানে পেঁয়াজের দাম ৩৫ থেকে ৪০ টাকা ছিল, তা এখন ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বেড়েছে রসুনের দামও। গত বছরের ৬০ থেকে ৯০ টাকার দেশী রসুন এখন ১২০ থেকে ১৬০ টাকায় উঠেছে। এছাড়া বাজারে শুকনা মরিচ ও জিরার দাম হয়েছে দ্বিগুণ। তেজপাতা, হলুদ, গোলমরিচ, দারচিনি, এলাচ, লবঙ্গের দাম বেড়েছে পাঁচ থেকে ২০ গুন।
কালীগঞ্জ বাজারের মসলা ব্যবসায় জড়িত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদ সামনে রেখে প্রচুর মসলা এসেছে। তারপরও প্রায় অর্ধেক মসলা আমদানি করতে হচ্ছে প্রতি বছর। সেজন্য এ খাতে দেশ থেকে বিদেশে চলে যাচ্ছে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা।
সোম বাজার এলাকার খুচরা মুদি দোকানদার মোঃ এমরান হোসেন বলেন, মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে বেশ কিছু মসলার দাম বেড়েছে। তিনি আরোও বলেন, সকল প্রকার পণ্যের দাম বেড়েছে। বেশী দামে কিনে আনতে হচ্ছে তাই বেশী দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে স্থানীয় প্রশাসন ইচ্ছে করলে বাজার নিয়ত্রনে রাখতে পারে।
দেশকণ্ঠ/আসো