দেশকন্ঠ অনলাইন : র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইং'র পরিচালক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করছেন কমান্ডার আরাফাত ইসলাম। তিনি কমান্ডার খন্দকার আল মঈনের স্থলাভিষিক্ত হলেন। বুধবার কমান্ডার আরাফাত ইসলাম র্যাবের লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
র্যাবের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীর একজন চৌকস অফিসার। তিনি ১৯৯৫ সালে ৩৫ তম বিএমএ লং কোর্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেন এবং ১৯৯৭ সালের ১ জুলাই এক্সিকিউটিভ ব্রাঞ্চে কমিশন লাভ করেন। তিনি দীর্ঘদিন নৌ-বাহিনীতে ছোট ও মাঝারি বিভিন্ন জাহাজের অধিনায়ক হিসেবে অত্যন্ত সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। কমান্ডার আরাফাত ইসলাম দেশ ও বিদেশে নৌ-বাহিনীর বিভিন্ন অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ওপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।
আরাফাত ইসলাম ২০২২ সালের ২৬ ডিসেম্বরে প্রেষণে র্যাব ফোর্সেসে যোগদান করেন। তিনি ২০২৩ সালের ২০ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত র্যাব-১৩ এর কমান্ডিং অফিসার (অধিনায়ক) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি র্যাব-১৩-এর অধিনায়ক হিসেবে সততা, দক্ষতা ও নিষ্ঠার সাথে দীর্ঘ ১ বছর ৩ মাস দায়িত্ব পালন করে র্যাবের আভিযানিক কর্মকান্ড ত্বরান্বিত করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। এছাড়াও তিনি রংপুর বিভাগীয় অঞ্চলে জঙ্গি দমন অভিযান, ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন, মাদক-বিরোধী অভিযানসহ অন্যান্য অপরাধ দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
এছাড়া তিনি র্যাব-১৩-এ দায়িত্ব পালনকালে র্যাব-১৩ প্রথম বারের মতো ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে প্রশাসনিক দক্ষতায় শ্রেষ্ঠ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন। আরাফাত ইসলাম ইতোপূর্বে ২০০৭ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত র্যাব-৪ ও র্যাব-৫ এর উপ-পরিচালক হিসেবে অত্যন্ত সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশ কোস্টগার্ডে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে লেবানন এবং সাউথ সুদানে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি র্যাবে কর্মরত থাকাবস্থায় পেশাগত দক্ষতা প্রদর্শনের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশ পদক বিপিএম (সেবা), বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী থেকে নৌ-উৎকর্ষ পদক (এনইউপি) এবং কোস্টগার্ড থেকে প্রেসিডেন্ট কোস্ট গার্ড মেডেল (পিসিজিএম)-এ ভূষিত হয়েছেন। এছাড়াও তিনি নৌ-প্রধানের প্রশংসা এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন থেকে ফোর্স কমান্ডার’স কমেন্ডেশন প্রাপ্ত হন।
কমান্ডার আরাফাত ইসলাম নেভিগেশন এন্ড ডাইরেকশনের ওপর বিশেষ স্পেশালাইজেশন সম্পন্ন করেন। তিনি আবহাওয়া বিদ্যায় উচ্চশিক্ষা অর্জন ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীর বিভিন্ন পরিসরের প্রশিক্ষক, কমান্ড ও স্টাফ অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজন চৌকষ অফিসার।
দেশকন্ঠ//