• শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১  নিউইয়র্ক সময়: ০৮:১৬    ঢাকা সময়: ১৮:১৬

কুমিল্লায় উদ্যোক্তা সবুজের বাগানে ফলেছে রসে ভরা মিষ্টি আঙুর ফল

দেশকন্ঠ অনলাইন : জেলার তরুণ উদ্যোক্তা সবুজের বাগানে ফলেছে রসে ভরা মিষ্টি আঙুর ফল। থোকায় থোকায় ঝুলছে আঙুর ফল। দেখা যায় দু'পাশে সারি সারি গাছে ধরেছে আঙুর, মাথার উপর বাঁশের মাচায় ঝুলছে সবুজ আঙুর। একেক থোকায় শ-খানেক আঙুর। আঙুর চাষ করে সাড়া ফেলে দিয়েছেন তরুণ ওই কৃষক। ১৪ শতক জমির মাচায় থোকায় থোকায় ঝুলছে আঙুর। তা দেখতে যেমন মানুষ ভিড় করছেন তেমনই আঙুর চাষের পরামর্শ ও চারা সংগ্রহও করছেন বিভিন্ন এলাকার কৃষকেরা। এ অঞ্চলের মাটিতে আঙুর চাষ করতে দেখে একসময় যারা খোকনকে নিয়ে উপহাস করেছিলেন, এখন তারাই হতবাক হয়ে তার গুণগান গাইছেন।

স্থানীয় ও কৃষি অফিসের সূত্র জানায়, কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার বলরামপুর গ্রামের উদ্যমী কৃষক কাজী আনোয়ার হোসেন। তিনি কখনো হলুদ তরমুজ, কখনো সাম্মাম চাষ করেন। ব্যতিক্রমী ফসল চাষ করে তিনি সফলও হয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছর ১৪ শতক ধানি জমি একটু উঁচু করার পর আঙুর চাষ শুরু করেন। কয়েক মাস আগে তিনি প্রবাসে যায়। তার আরেক ভাই কাজী বিল্লাল হোসেন খোকন নার্সারির ব্যবসা করেন। এ ছাড়া তিনি স্থানীয় দিঘিরপাড় টিআইকে মেমোরিয়াল কলেজের শিক্ষক। আনোয়ারের অনুপস্থিতিতে খোকন বাগানটি পরিচর্যা করছেন।

বাগানে গিয়ে দেখা যায়, ধানের মাঠের মধ্যে মাটি ভরাট করা একটু উঁচু জমি। সেখানে বাঁশ ও সিমেন্টের পিলার দিয়ে মাচা করা হয়েছে।মাচায় লতানো আঙুর গাছ। গাছে ঝুলছে থোকায় থোকায় সবুজ আঙুর। গাছের গোড়া পরিচর্যা করছেন আনোয়ারের স্ত্রী ও মা।ডালাগুলো ঠিক করে দিচ্ছেন খোকন। কাজী বিল্লাল হোসেন খোকন বলেন, আমার নার্সারিতে কিছু আঙুর গাছ ছিল।

গত বছর দুটি গাছ থেকে ১৭ কেজি আঙুর পাই। আঙুর মিষ্টি ও স্বাদ ভালো। গত বছর আমার ছোট ভাই আনোয়ার আঙুর বাণিজ্যিকভাবে চাষ শুরু করেন। তার ১ লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে। তার চাষ দেখে অনেকে প্রথমে হাসাহাসি করেছেন। এখন ফলন দেখে তারা আঙুর চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। প্রথম বছর অল্প কিছু ফল আসে। এবার ভালো ফলন এসেছে। আশা করছি, সামনের বছর এ ফলন আরও বাড়বে। একই গাছ থেকে কয়েক বছর ফল আসবে বলেও তিনি জানান।

স্থানীয়রা জানান, আঙুর বাগান নিয়ে খোকন প্রচুর খাটা-খাটুনি করেন। প্রচন্ড খরার রাতেও বাগানে ২ ঘণ্টা পানি দেয়ার কাজ করেন। খোকন একাই বাগানে কাজ করতেন। তার ভাবী তাকে মাঝে মধ্যে সহযোগিতা করেন। আঙুর বাগান করে এবার লাভবান বলেও জানান এলাকাবাসী।

পাশের গ্রামের কাউসার বলেন, খোকন অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে বাগানে এ আঙুর উৎপাদন করেছেন। পুরো উপজেলায় একমাত্র খোকনই আঙুরের চাষ করেছেন। বলরামপুর গ্রামের অপর কৃষক তফাজ্জল বলেন, খোকনের বাগান দেখে আমরা এলাকার মানুষ অনুপ্রাণিত। এখান থেকে আঙুর চারা নিয়ে নিজেও চাষ করবো ভাবছি।

কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক আইউব মাহমুদ বলেন, এখানে ব্যতিক্রমী উদ্যোক্তা রয়েছেন। কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার বলরামপুর গ্রামের উদ্যোক্তা আনোয়ার ও খোকন পরিশ্রমী। তার মধ্যে খোকন কলেজ শিক্ষক। তাদের আঙুর চাষের উদ্যোগটি সাহসী ও ব্যতিক্রম। তাদের সফলতা দেখে অন্য উদ্যোক্তারাও উদ্বুদ্ধ হবেন। আমরা পরামর্শ দিয়ে তাদের সহযোগিতা করছি। ফলন পাওয়ার পর আমরা বুঝতে পারব তারা কেমন সফল হয়েছেন।
দেশকন্ঠ//

  মন্তব্য করুন
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।