• বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১  নিউইয়র্ক সময়: ০৩:৪০    ঢাকা সময়: ১৩:৪০
পড়শি কাব্য : ধারাবাহিক পঞ্চম কবিতা আসর

কবিতার শিল্পদ্যুতি দেখেন ক’জন

দেশকণ্ঠ নিউইর্য়ক প্রতিনিধি : নিউইয়র্কে ‘পড়শি কাব্য’ শিরোনামে ৪ মে সন্ধ্যায় একটি জমাট কবিতা আবৃত্তির অনুষ্ঠান হয়ে গেল। এটা নতুন কোনো আয়োজন নয়। ধারাবাহিক পঞ্চম আসরের চমৎকার উপস্থাপনা করেছেন আবৃত্তিশিল্পী জিএইচ আরজু এবং সাবিনা শারমিন নিরু। তাঁদের উপস্থাপনায় একটি কথা এসেছে-অনুষ্ঠানে উপস্থিতি কম। কিন্তু অনুষ্ঠানটি কোনভাবেই উজ্জ্বলতা হারায়নি এতে।
 
সেরা মানুষদের সেরা ভাবনাগুলোর শিল্পীত পরিবেশনাই হলো কবিতা। যারা কবিতার চর্চা করেন আর যারা কবিতার গুনগ্রাহী বা অনুরাগী- এরা অন্যদের চেয়ে চিন্তায়, মেধায়, দর্শনে মননে এগিয়ে। পড়শি কাব্য ও বিপার প্রত্যাশা হলো, একদিন পৃথিবীর সব মানুষ হয় কবি হবেন নয়তো কবিতার অনুরাগী হবেন। এ এক দীর্ঘ পথচলার পরাকাষ্ঠা। মানুষ হয়ে বাঁচতে গেলে সংস্কৃতির কোন না কোন পথে আমাদের হাঁটতেই হবে। আমরা কবিতার পথে হাঁটছি। আপনারা হাত বাড়ালে আমরা সে হাত ধরার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছি।
 
নিউইয়র্ক শহরে কয়েক লক্ষ বাংলাদেশি বাস করছেন। কবিতার অনুষ্ঠানে আরো কাব্যপ্রেমির উপস্থিতি আশা করা স্বাভাবিক। ‘লারে লাপ্পা’ জাতীয় গানের অনুষ্ঠানে মানুষের ভিড় কিন্তু দেখা যায়। এটাই অস্বস্থির কাঁটা বিঁধিয়ে দেয়। যাই হোক, কবিতার অনুষ্ঠান আরো হোক, কাব্যানুরাগীদের উপস্থিতি বাড়ুক অনুষ্ঠানে এবং ভাল কবিতার সংযোজন করার প্রচেষ্টাও থাকুক-এমন প্রত্যাশা করছি। 
 
 
সবচেয়ে ভাল লেগেছে যখন দেখলাম কানেকটিকাট থেকে ন্যাশ নাসরিন এবং বষ্টন শহর থেকে প্রিয়তা সায়রা ইমাম (দশম গ্রেডের ছাত্রী) এসেছেন কবিতা আবৃত্তি করতে, তখন মনে হল কবিতার শিল্পদ্যুতি বা সম্মোহন শক্তি মানুষকে সত্য ও সুন্দরের দিকে নিয়ে যাবে নিরন্তর।
 
কবি দর্পণ কবীর এ ব্যাপারে বলেছেন, ‘সাহিত্যে কবিতার শিল্পদ্যুতি সবচেয়ে বেশি বলে আমি মনে করি। কবি বলে অনেকে তাচ্ছিল্য করেন জানি, তবে একটি ভাল কবিতা কিন্তু শুভবোধের স্রোত বইয়ে দিতে পারে। বিক্ষিপ্ত চিন্তাধারা, গ্লানি বা যাতনা দূর করে শ্রোতার মনজগতে প্রশান্তির উদ্বেলতা তৈরি করে দিতে পারে। তিনি আরো, ‘এটা সত্য যে, কবিতার আসরে লোকের উপস্থিতি বরাবরই কম দেখা যায়। কিন্তু প্রায় সকল মানুষ কিন্তু কবিতা, ছন্দ-অন্তমিল বিচ্ছিন্ন নয়। চেতন বা অবচেতনভাবে মানুষ কবিতার সঙ্গে সংযুক্ত। শুধু অধিকাংশ মানুষ কবিতার শিল্পদ্যুতি দেখেন না বা কবিতার দিকে তাদের অন্তরদৃষ্টি মেলে ধরেন না।’
 
বলতে দ্বিধা নেই একজন কবি যে অনুভব থেকে শব্দের পর শব্দ সাজিয়ে কবিতা রচনা করেন, বাচিকশিল্পী তা শ্রুতিগ্রাহ্য করে তোলেন নিজেস্ব উপস্থাপনতার মহিমায়। সুষমামণ্ডিত একটি পরিবেশে পরশী কাব্য কবিতার আসরটি শুরু হয়। 
 
 
আসরে কবি আনোয়ার সেলিম, দর্পণ কবীর, আল ইমরান দিদ্দিকী, কাজী আতিক, জানন্নাতুল মুর্শিদা, বদরুজ্জামান আলমগীর, বেনজির শিকদার, মিশুক সেলিম, মুমু আনসারী, রাওশান হাসান, রাজিয়া নাজমী, লুৎফা শাহানা, সুমন শামসুদ্দিন, সোনিয়া কাদের, হোসাইন কবিরসহ অনেকেই কবিতা পাঠ করা হয়েছে। আবৃত্তি করেছেন শিল্পী আবীর আলমগীর, ন্যাশ নাসরিন, পাপড়ি বস্তুয়া, পারভীন সুলতানা, প্রিয়তা সায়রা ইমাম, শাহরিয়ার তৈমুর প্রমুখ। সঙ্গীত পরিচালনায় ছিলেন তাহমিনা শহিদ; বাঁশিতে সৌগত সরকার হিল্লোল। নিউইয়র্কের সবচেয়ে নিবেদিত প্রাণ সাংস্কৃতিক সংগঠন বিপার এটি ধারাবাহিক আসর হিসেবে পঞ্চম। অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিল বাংলাদেশ ইনস্টিউট অফ পারফর্মিং আর্টস (বিপা) এবং বাংলাদেশ রাইটার্স ক্লাব, যুক্তরাষ্ট্র শাখা।
দেশকণ্ঠ//
 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।