দেশকন্ঠ অনলাইন : এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় স্কয়ার হাসপাতালসহ ৯টি স্থাপনাকে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) ভ্রাম্যমাণ আদালত। ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ ও এডিস মশার প্রজননস্থল নিধনে করপোরেশন পরিচালিত ৭টি ভ্রাম্যমাণ আদালত এই জরিমানা আদায় করে।
বৃহস্পতিবার করপোরেশনের পক্ষ থেকে কামরাঙ্গীরচর, পান্থপথ, নারিন্দা, স্বামীবাগ, করাতিয়া রোড, সারুলিয়া, ডেমরা, রানীমহল, নন্দিপাড়া এম ব¬ক, বনশ্রী, খিঁলগাও এলাকায় এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে সর্বমোট ৪৫৮টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করা হয়েছে। এ সময় ৯টি বাসাবাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায় ৯টি মামলায় সর্বমোট ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
করপোরেশনের অঞ্চল ১ এর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের পান্থপথ এলাকায় অবস্থিত স্কয়ার হাসপাতালের জন্য নির্মাণাধীন একটি ভবনের ৪র্থ তলার বেজমেন্টে মশার লার্ভা পাওয়ায় করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ টি এম মোর্শেদ হাসপাতালের প্রকৌশলী মো. আনোয়ার হোসেনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। স্কয়ার হাসপাতালের নির্মাণাধীন ভবনটি ইউনিয়ন ডেভেলপমেন্ট এন্ড টেকনোলজিস লিমিটেড নির্মাণ করছে বলে জানা গেছে। এছাড়াও অঞ্চল-১ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরও ৪৪টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন।
৩ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তায়েব-উর-রহমান আশিক ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের কামরাঙ্গীরচরের নূরবাগ এলাকায় ৫৮টি বাসাবাড়ি ও ৬ কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় আদালত তৈজসপত্র প্রস্তুতকারী ১টি কারখানায় ৬টি পাত্রে মশার লার্ভা পাওয়ায় এক লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেন।
৪ নম্বর অঞ্চলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের ইমামগঞ্জ ও আশপাশের এলাকায় ১১০টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করে ২টি বাড়িতে লার্ভা পাওয়ায় ২ মামলায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
৫ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমির হামজা ৫ ও ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের নারিন্দা, স্বামিবাগ, করাতিয়া রোড এলাকায় ৮৫টি বাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করে ৩টি স্থাপনায় লার্ভা পাওয়ায় ৩ মামলায় ৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
৬ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদুর রহমান ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডের নন্দিপাড়া এম ব¬ক, বনশ্রী, খিঁলগাও এলাকায় ৪৮টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করে ১টি বাড়িতে লার্ভা পাওয়ায় ১ মামলায় ২ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
৮ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পংকজ চন্দ্র দেবনাথ ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডের সারুলিয়া, ডেমরা, রানীমহল এলাকায় ৪৬টি বাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন। তবে সেখানে কোন লার্ভা পাওয়া যায়নি।
৯ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ শামসুল আরেফীন ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডের মাতুয়াইল, শরিফপাড়া, যাত্রাবাড়ীর এলাকায় ৬০টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করে ৯টি বাসা বাড়ি ও স্থাপনায় লার্ভা পাওয়ায় ১ টি মামলায় ৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
দেশকন্ঠ//