• শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২  নিউইয়র্ক সময়: ১৩:৪০    ঢাকা সময়: ২৩:৪০

উন্মুক্ত ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল আমাদের অগ্রাধিকার

দেশকণ্ঠ অনলাইন : কোয়াড সামিটে যোগ দিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। গাইলেন মানবতার জয়গান। দিলেন বিশ্বশান্তির বার্তা। সেই সঙ্গেই বিশ্বে চলতে থাকা নানা সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে কোয়াডের গুরুত্বও বোঝালেন। এদিন বৈঠকের পাশাপাশি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিস, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিয়ো কিশিদার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও করেন মোদি।
 
অস্ট্রেলিয়া, ভারত, জাপান ও আমেরিকা এই চার দেশ নিয়ে গঠিত কোয়াড জোট। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চিনের চোখ রাঙানি রুখতে হাতে হাত রেখেছে এই দেশগুলো। এদিন সম্মেলনে অন্য সদস্য দেশের প্রতিনিধিদের সামনে মোদিকে বলতে শোনা যায়, ”এই সময়ে দাঁড়িয়ে মানবতার জন্যই কোয়াডের সদস্যদের এগিয়ে আসতে হবে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের উপর ভিত্তি করে। আমরা কারও বিরুদ্ধে নই। আমরা সকলেই নিয়মনির্ভর আন্তর্জাতিক নির্দেশকে সমর্থন করি, সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই সমস্ত সমস্যার। এক উন্মুক্ত, সমৃদ্ধ ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল আমাদের সকলের অগ্রাধিকার। আর এটাই আমাদের অঙ্গীকার।” ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বরাবরই সরব ভারত, আমেরিকার মতো বহু দেশ। এদিনও মোদির ভাষণে সেই সুরই ধরা পড়ল।
 
এদিন আলাদা করে বাইডেনকে ধন্যবাদ জানাতে দেখা যায় মোদিকে। তিনি বলেন, ”২০২১ সালে কোয়াডের প্রথম সম্মেলন আপনার নেতৃত্বেই আয়োজিত হয়েছিল। এত অল্প সময়ে পারস্পরিক সহযোগিতার বার্তা ছড়াতে সক্ষম হয়েছি আমরা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কোয়াড সম্মেলনে যোগ দিয়ে আমি গর্বিত।” প্রসঙ্গত, শনিবার বাইডেনের বাসভবনে আমন্ত্রিত ছিলেন মোদি। সেখানে দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়। পাশাপাশি কোয়াডের সদস্য দেশগুলির রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গেও বৈঠক সেরেছেন প্রধানমন্ত্রী।
 
২১ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আমেরিকায় থাকবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ষষ্ঠ কোয়াড সামিটে অংশ নেওয়া ছাড়াও আরও কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। ২২ সেপ্টেম্বর আমেরিকায় ভারতীয় সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন। যার জন্য বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এর পর ২৩ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় বক্তব্য রাখবেন নমো। এই বৈঠকের নাম ‘সামিট অফ দ্য ফিউচার’।
দেশকণ্ঠ/আসো 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।