• শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২  নিউইয়র্ক সময়: ১২:৫২    ঢাকা সময়: ২২:৫২

গুজব থেকে সাবধান

  • মতামত       
  • ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪       
  • ১১৯
  •       
  • ১৭:২৪:২৩

এম আর রুবেল,দেশকন্ঠ অনলাইন : চারদিকে গুজব। ব্যাক্তিস্বার্থ, রাজনৈতিক স্বার্থসহ নানা স্বার্থে যে যার মতো ছড়িয়ে দিচ্ছেন গুজবের ডালপালা। যা আতংকিত করছে সাধারণ মানুষকে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরপরই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভাবে বেশ কিছু  অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে গেছে দেশে।

এরমধ্যে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর কিছু আক্রমণ করা হয়। হামলা হয়েছে আওয়ামী সরকার সমর্থিত নেতা কর্মীদের বাড়িতেও। ঐতিহাসিকভাবেই বাংলাদেশের হিন্দুরা আওয়ামী লীগের সমর্থক এবং তাদেরও বেশ কিছু নেতা রয়েছে যেখানে দুষ্কৃতকারীরা হামলা করেছে হিন্দু হিসেবে নয়, আওয়ামী লীগ হিসেবে।

কিন্তু দেখা গেছে হামলা সহিংসতা নিয়ে এখন শুরু হয়েছে নোংরা রাজনীতি। যেখানে গুজব ছড়িয়ে ধর্মকে ট্রাম্প কার্ড হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক দেশ। এদেশের মানুষ ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে একসাথে বসবাস করে। তাই সহিংসতার সময় দেখা গেছে সাধারণ ছাত্র জনতা, এমনকি মাদ্রাসার ছাত্ররাও মন্দির এবং হিন্দুদের সম্পত্তিগুলো পাহারা দিয়েছে। রক্ষা করেছে অনেকের বাড়ি ঘর সম্পত্তি।

কিন্তু এরমাঝেও ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে অতিরঞ্জিত খবর। মিথ্যা গুজব চারদিকে ছড়িয়ে দেখানো হচ্ছে ভয়। যা আতংকিত করছে মানুষকে। বাড়ছে সহিংসতা। যা অত্যন্ত নিন্দনীয়।  

সুপ্রিয় পাঠক, কোন কোন হিন্দু স্থাপনা এবং বাড়িতে আক্রমণ করা হয়েছে তার একটা লিস্ট, ছবিসহ প্রকাশ করা দরকার। ইন্টারনেটের যুগে কোন কিছুই লুকিয়ে রাখা যায় না। তাই যেখানে যা সহিংসতা হয়েছে তা প্রকাশ করা হোক। গুজব রটেছিল লিটন দাসের বাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। পরে লিটন দাস নিজেই বিবৃতি দিয়ে বলেছেন তার বাড়ি ভাংচুর করা হয়নি।

সুপ্রিয় পাঠক, ভারতীয় মিডিয়ায় অবিশ্বাস্য রকম বাংলাদেশ বিরোধী তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়। তারা ভারতীয় জনগণকে বিভ্রান্তিমূলক ও মিথ্যা সংবাদ এর মাধ্যমে ভ্রান্ত ধারণা দিচ্ছে। এ বিষয়ে দেশের গণমাধ্যমকে তাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা দরকার। ভারতের সাথে পার্শ্ববর্তী কোনো দেশেরই সম্পর্ক ভালো নেই, এমনকি পৃথিবীর একমাত্র হিন্দু রাষ্ট্র নেপালের সাথেও তার সম্পর্ক অবনতির দিকে। ভারতের আধিপত্য মূলক ফরেন পলিসির কারণে ছোট ছোট দেশগুলোর সাথেও দূরত্ব তৈরি হচ্ছে। তাই এখনই আমাদের সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।

গত স্বৈরাচার সরকার রাজাকার বিষয়ে মিথ্যা রাজনীতি করতে গিয়ে নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনেন। এতে সমাজের মধ্যে গভীর বিভেদ ও ক্ষতের সৃষ্টি  হয়।

সবার প্রতি অনুরোধ ব্যাক্তি স্বার্থে অযথা গুজব ছড়িয়ে আর বিভেদ সৃষ্টি করবেন না যাতে করে সম্পর্কের অবনতি হয়।  বাংলাদেশের বেশিরভাগ জনগণ এবং বিশেষ করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সমাজ সেকুলার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। সবাই চায় এখন দুর্নীতিমুক্ত অসাপম্রদায়িক এক লাল সবুজের বাংলাদেশ।

তাই কোনো গুজব নয়, সাম্প্রদায়িকতার ঊর্ধ্বে উঠে সকলে মিলে দেশটাকে এখন নতুন করে গড়া দরকার। এগিয়ে যাওয়া দরকার সামনের দিকে। তরুণ প্রজন্মকে নিয়ে হাঁটতে চাই সবাই নতুন এক বিশ্বের দিকে।
দেশকন্ঠ//

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।