দেশকন্ঠ অনলাইন : জয়পুরহাটের কালাইয়ে কথা কাটাকাটির জেরে গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুই নরীসহ ৮ জন আহত হয়েছে। ৪ অক্টোবর শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার পুনট ইউনিয়নের তিশরাপাড়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আহতরা হলেন, উপজেলার তিশরা পাড়া গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে আঃ হান্নান (৪০), তাঁর স্ত্রী মোরশেদা খাতুন (৩০), একই গ্রামের মৃত আঃ করিমের ছেলে আবু বক্কর (৪৫), তার ছেলে আঃ মোমিন (৩২), আব্দুস সাত্তারের ছেলে নুর ইসলাম (৪৬), আঃ করিমের ছেলে বাবলু মিয়া (৫০), মৃত রহিচ উদ্দিনের ছেলে বাবলু (৬০), একই উপজেলার পূর্ব দূর্গাপুর গ্রামের বাবলু মিয়ার স্ত্রী মঞ্জুয়ারা বিবি (৪৫)।
আহত ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার কিছু আগে আহত আবু বক্করের বোন মঞ্জুয়ারা স্বামীর বাড়ী পূর্ব দূর্গাপুর থেকে ভাইয়ের বাড়ী তিশরাপাড়া গ্রামে আসছিলেন। গ্রামের ভিতরে প্রবেশের সময় আহত আঃ হান্নানের ছেলে হানিফের সাথে তাঁর বাবাকে নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সেখান থেকে যে যার মত করে চলে যায়। পরবর্তীতে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষ লাঠি-সোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে এক পক্ষের দুইজন এবং অপর পক্ষের ৬ জন আহত হয়। পরে স্থানীয়রা উভয় পক্ষের আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করান।
আহত আঃ হান্নান বলেন, ওরা ছেলের সামনে আমার পা কেটে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে। প্রতিবাদ করলে আমার ছেলেকে মারপিট করে। পরে ওরা আমাকে ও আমার স্ত্রীকেও মারপিট করে গুরুত্বর যখম করেছে। পরে গ্রামের লোকজন এসে আমাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। ওরা আজ বিএনপির কর্মী বলে পরিচয় দিচ্ছে। আসলে ওরা বিএনপির কেউ না। আগে থেকেই আওয়ামী লীগ করে।
অপর পক্ষের আহত আবু বক্কর বলেন, আমরা বাপ-দাদার আমল থেকে বিএনপি করি। বিগত সরকারের আমলে অনেক নির্যাতিত হয়েছি, আজও হচ্ছি। হান্নান লোকজন এনে আমাদের উপর অযাচিত হামলা করেছে। এতে আমরা ৬ জন যখম হয়েছি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক রেজাউল করিম বলেন, দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৮ জন ভর্তি হয়েছে। তারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হোসেন বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কালাই থানা বিএনপির আহবায়ক ইব্রাহিম হোসেন ফকির বলেন, বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে নয়, সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে গ্রামের দুই পক্ষের মধ্যে। এতে বিএনপির দুইজন আহত হয়েছে। আজ যারা বিএনপির পরিচয় দিচ্ছে তারা আওয়ামী লীগের লোক। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
দেশকন্ঠ//