দেশকন্ঠ অনলাইন : ক্লাউড প্রযুক্তিতে দক্ষিণ আফ্রিকায় বড় সাফল্যের দেখা পেয়েছে চীনের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে। গত পাঁচ বছরে দেশটিতে হুয়াওয়ের ক্লাউড বিজনেস বেড়েছে ১৬ গুণ এবং এখন পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ১ হাজারেরও বেশি গ্রাহককে ক্লাউড ভিত্তিক সেবা প্রদান করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
এই প্রেক্ষাপটে দেশটিতে নিজেদের ব্যবসা বিস্তৃত করে আয় বৃদ্ধি করতে আরও বেশি ক্লাউড সলিউশন নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছে হুয়াওয়ে। গত বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তা। হুয়াওয়ের ক্লাউড সলিউশনের গ্রাহক তালিয়ায় সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ছাড়াও রয়েছে শিক্ষা, অর্থ, টেলিকম ও ই-কমার্স খাতের বিভিন প্রতিষ্ঠান।
সম্প্রতি জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত হয়েছে হুয়াওয়ের ক্লাউড সম্মেলন। উক্ত সম্মেলনে হুয়াওয়ে ক্লাউডের গ্লোবাল মার্কেটিং ও সেলস সার্ভিস ডিভিশনের প্রেসিডেন্ট জ্যাকলিন শি আগতদের বলেন, ‘বিভিন্ন গ্রাহকের কাছ থেকে শক্তিশালী সমর্থন পেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় আমাদের ক্লাউড ব্যবসা গত পাঁচ বছরে ১৬ গুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।’
দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্তমানে ক্লাউড প্রযুক্তি ভিত্তিক বিভিন্ন সলিউশন জনপ্রিয় হচ্ছে। এর পেছনে মূল কারণ হলো দ্রুততর কম্পিউটিং এর ক্রমবর্ধমান চাহিদা। আইটি প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি সরকারি পর্যায়েও তাই বড় আকারের ক্লাউড অপারেশনের বিশাল চাহিদা রয়েছে দেশটিতে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় ক্লাউড প্রযুক্তির জনপ্রিয়তা সামনের বছরগুলোতে আরও বাড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান আফ্রিকা অ্যানালিসিস-এর মতে, দক্ষিণ আফ্রিকায় ক্লাউডের বাজার ২০২৩ থেকে ২০২৮ সালের মধ্যে প্রতি বছর ২৬ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়ে ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছবে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি গ্রহণের প্রবণতাও ক্রমাগত বাড়ছে। ফলে ক্লাউড ডেটা সেন্টারের চাহিদাও উত্তরোত্তর আরও বাড়বে। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে দেশটিতে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে হুয়াওয়েই প্রথম স্থানীয় ‘হাইপারস্কেল’ ক্লাউড ডেটা সেন্টার হোস্ট করে।
দক্ষিণ আফ্রিকার বাজারে মাইক্রোসফট, অ্যামাজন ও গুগলের মতো শীর্ষ ক্লাউড সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সাথেও প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে হচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলোকে। উল্লেখ্য, জোহানেসবার্গে বর্তমানে তিনটি ডেটা সেন্টার জোন বা লোকেশন রয়েছে।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স
দেশকন্ঠ//