• বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১  নিউইয়র্ক সময়: ০৪:১৫    ঢাকা সময়: ১৪:১৫

এই স্যাটেলাইট কাঠের তৈরি

দেশকন্ঠ অনলাইন : বিশ্বে প্রথমবারের মতো কাঠের তৈরি স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠানো হলো। স্যাটেলাইটটি তৈরি করেছেন জাপানি গবেষকেরা। গত ৫ নভেম্বর স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করে মহাকাশ অভিযানে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল জাপান। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা র‍য়টার্সের প্রতিবদেনে এ তথ্য জানা গেছে।

কাঠের স্যাটেলাইটটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার অংশ হিসেবে মহাকাশে পাঠানো হয়েছে। ধাতব উপাদানের পরিবর্তে কাঠ ব্যবহার করে ভবিষ্যতে চাঁদ ও মঙ্গল গ্রহে অভিযানের জন্য স্যাটেলাইট তৈরি করা সম্ভব কি না, তা এই পরীক্ষার মাধ্যমে বোঝা সম্ভব হবে।

‘লিগনোস্যাট’ নামের স্যাটেলাইটটি হোনোকি কাঠ দিয়ে জাপানের কিয়োটো ইউনিভার্সিটি ও সুমিতোমো ফরেস্ট্রির গবেষকরা যৌথভাবে তৈরি করেছেন। ‘লিগনোস্যাট’ শব্দটি লাতিন ‘উড’ থেকে এসেছে। এটি একটি হাতের তালুর আকারের মতো ছোট স্যাটেলাইট।

কিয়োটো ইউনিভার্সিটির গবেষক ও মহাকাশচারী তাকাও ডই বলেন, ‘কাঠ দিয়ে আমরা মহাকাশে বাড়ি তৈরি করে আজীবন বসবাস ও গবেষণা করতে সক্ষম হব বলে আশা রাখি।’

চাঁদ ও মঙ্গলে গাছ লাগানো এবং কাঠের ঘর তৈরির ৫০ বছরের পরিকল্পনা রয়েছে ডই ও তাঁর দলের। আর মহাকাশে কাঠ ব্যবহার করা সম্ভব কি না, তা প্রমাণ করতে নাসা স্বীকৃত কাঠের স্যাটেলাইট তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

কিয়োটো ইউনিভার্সিটির ফরেস্ট সায়েন্সের অধ্যাপক কোজি মুরাতা বলেন, ‘‌১৯০০ সালের শুরুতে উড়োজাহাজগুলো কাঠের তৈরি ছিল। তাই কাঠের স্যাটেলাইট অসম্ভব কিছু না। পৃথিবীর চেয়ে মহাকাশে কাঠ বেশি টেকসই হবে, কারণ সেখানে পানি বা অক্সিজেন নেই। ফলে কাঠকে নষ্ট হবে না।’

জাপানি এ গবেষকদের মতে, সাধারণ ধাতব স্যাটেলাইটগুলো বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের সময় অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইডের কণার সৃষ্টি করে, যা পরিবেশকে দূষিত করে। কিন্তু কাঠের স্যাটেলাইট সহজে পুড়ে যাবে এবং কম দূষণ তৈরি করবে।
দেশকন্ঠ/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।