দেশকন্ঠ অনলাইন : ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে টানা গত ৪ দিন ধরে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসে জেলায় পাকা ও আধাপাকা ধানের গাছ গুলো মাটিতে হেলে পড়েছে। এছাড়া ক্ষতির মুখে পড়েছে শীতকালীন আগাম নানান শাক-সবজিসহ বিভিন্ন ধরনের রবি-শস্য। এ অঞ্চলের কৃষকরা বলছেন, পাকা আমন ধান ঘরে তোলার এখনই মোক্ষম সময় কিন্তু বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অন্যদিকে কিছু সংখ্যক জমিতে কেটে রাখা ধান নিয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে তারা ।
আগামী তিন -চারদিন পর্যাপ্ত রোদ না হলে এসব ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। শনিবার সকালে জেলা সদরের বিভিন্ন এলাকা সরে-জমিনে দেখা গেছে, বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসের কারণে অনেক স্থানে পাকা ও আধাপাকা ধানের গাছ গুলো মাটিতে হেলে পড়েছে। এতে পাকা আমন ধান নিয়ে ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকরা।
সদরের পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া গ্রামের কৃষক শ্রী শ্যামল চন্দ্র রায় বলেন, আকাশ পরিষ্কার থাকায় জমিতে পাকা ধান কাটার প্রস্তুতি নিয়েছিলাম হঠাৎ গত বৃহস্পতিবার বৃষ্টি ও বাতাসের কারণে আমরা জমির পাকা ধান গুলো হেলে পড়েছে মাটিতে, এখন দুশ্চিন্তায় পড়েছি। বড়বাড়ি ইউনিয়নের আরেক কৃষক সাদ্দাম আলী জানান, তাদের জন্য যেন মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাব। বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসের কারণে ইতিমধ্যে তাদের ধান ক্ষেতর চরম ক্ষতি হয়েছে। একই এলাকার কৃষক আব্দুল হাকিম বলেন, যেখানে প্রত্যেক একর জমিতে ৬০ থেকে ৬৫ মন ধান পেতাম এই মৌসুমে ঠিক সেখানেই ধানের শীষ গুলো মাটিতে হেলে যাওয়ার কারণে ৪০ থেকে ৪৫ মন ধানের বেশি পাওয়া সম্ভব নয়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মো. সাইখুল আরিফিন জানান, জেলায় এবার ৮৬ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আগামধানের চাষাবাদ হয়েছে । ৫ হাজার হেক্টর জমি ধান আগাম কাটা হয়েছে, ঝড়ের প্রভাবে কিছু জায়গায় ধান গাছ হেলে পড়েছে মাটিতে কিন্তু ধানের দানা শক্ত হয়ে যাওয়া তেমন বেশি ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই । তবে আমরা শক্ত ধানের দানা বা পাকা ধান যেগুলো মাটিতে হেলে পড়েছে সেসব ক্ষেতের ধান দ্রুত কাটার জন্য আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি।
দেশকন্ঠ//