• বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১  নিউইয়র্ক সময়: ২৩:৫২    ঢাকা সময়: ০৯:৫২

শেরপুরে আলু বীজ রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষীরা

দেশকন্ঠ অনলাইন : জেলার  চাষীরা জমিতে আলু বীজ রোপণে  ব্যস্ত সময় পার করছেন। ভোর থেকে সন্ধা পর্যন্ত পুরোদমে চলছে আলু  বীজ রোপণের কাজ। এদিকে প্রতিদিন কৃষক ও কৃষি শ্রমিকেরা দিনভর জমিতে আলু বীজ রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। গ্রামের পর গ্রাম একরের পর একর শুধু আলু বীজ রোপণের ধুম। অন্যদিকে আলু বীজ রোপণে কর্মসংস্থান হয়েছে মৌসুমী শ্রমিকদের। যেখানে প্রতিদিন কয়েক হাজার পুরুষ ও নারী শ্রমিক ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা মজুরি ভিত্তিতে কাজ করছেন।

জেলা কৃষি বিভাগ বলছে, চলতি বছর শেরপুরের পাঁচ উপজেলায় ৫ হাজার ২১২ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ৭০ শতাংশ আলু বীজ রোপণের কাজ শেষ হয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় আলু চাষীদের নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা।

নারী শ্রমিক হেলেনা বেগম (৩৫) বলেন, আমরা সারাদিন বাড়িতেই সাংসারিক কাজে ব্যস্ত থাকি। অনেক সময় হাতে কাজ না থাকায় অলস সময় পার করি। কিন্তু আলু বীজ রোপণ ও আলু তোলার সময় আমাদের প্রয়োজন হয়। তখন প্রতিদিন কাজ করে ২শ থেকে ৩ শ টাকা মজুরি পাই। কাজ করে যে টাকা পাই সেটা দিয়ে সংসারের বিভিন্ন কাজে খরচ করি।

শ্রমিক আবু মিয়া (৪০) জানান, বছরের একটা নির্দিষ্ট সময়ে আমি আলু বীজ রোপণের কাজ করি। এজন্য দূরে কোথাও কাজের জন্য যেতে হয় না। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে তীব্র শীত ও কুয়াশার কারনে হাতে কোন কাজ থাকে না। তখন বাড়ির পাশেই আলু বীজ রোপণের কাজ করে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা আয় করতে পারি।

আলু চাষী ইসমাঈল হোসেন (৩৪) বলেন, এবছর আমি ১০ একর জমিতে আলু চাষ করছি। অন্যানো ফসল চাষের পাশাপাশি আলু চাষ লাভ বেশি। এক একর জমিতে আলু বীজ ক্রয়, রোপণ, সার প্রয়োগ, সেচ ও শ্রমিকসহ খরচ হয় ১ লাখ ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এরপর খরচ বাদ দিয়ে একর প্রতি লাভ থাকে ৭০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা।

কৃষক সাদেক মিয়া (৩৮) জানান, প্রতিবছর তিনি আমন ধান কাটার পর আলু বীজ রোপণ করেন। এবছরও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। এবার তিনি ডায়মন্ড, এস্টারিক্স ও সানশাইন এ তিন জাতের আলু বীজ রোপণ করেছেন। তিনি বলেন, আলু গাছের সবথেকে খারাপ রোগ লেট ব্লাইট বা আলুর মড়ক রোগ। এ ভাইরাস আলু ক্ষেতে প্রবেশ করলে একদিনের ব্যবধানে সব গাছ মরে পুড়ে যাওয়ার মত অবস্থা হয়। তবে যদি শৈত্য প্রবাহ কম থাকে বা জমিতে মড়ক রোগের আক্রমণ না হয়। তবে আলুতে ভালো লাভ করতে পারব।

এবিষয়ে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) শেরপুর জেলার উপপরিচালক মো.খলিলুর রহমান বলেন, চলতি বছর জেলায় আলুর উন্নত মানের আলু বীজ সরবারহ করা হয়েছে। কৃষকেরা এবার লেডি রোসেটা, সানশাইন, এস্টারিক্স, ডায়মন্ড, কারেজ এ চার জাতের আলু বীজ রোপণ করছেন। আশা করছি আবহাওয়া অনুকূুলে থাকলে শেরপুর জেলায় আলুর বাম্পার ফলন হবে।
দেশকন্ঠ/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।