দেশকন্ঠ অনলাইন : বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে বরগুনায় চলছে বিভাগীয় যাত্রা উৎসব। বিজয়ের মাসে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী যাত্রার প্রাণ ফিরিয়ে আনতে এ যাত্রা উৎসবের আয়োজন বলে জানিয়েছেন আয়োজকেরা।
বাংলাদেশ নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের আয়োজনে এ উৎসবটি গত ১৭ ডিসেম্বর থেকে জেলার বিসিক শিল্পনগরীর মাঠে শুরু হয়েছে। প্রতিদিন রাত ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত যাত্রাপালা সবার জন্য উন্মুক্ত। যাত্রা চলবে আগামী ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
“যদি তুমি ভয় পাও, তবে তুমি শেষ; যদি তুমি রুখে দাঁড়াও, তবেই বাংলাদেশ” এ স্লোগানকে সামনে রেখে শুরু হওয়া যাত্রা উৎসবের শাহী তলোয়ার, নবাব সিরাজ উদদৌলা, দেবী সুলতানা, আঁধারের মুসাফির, আপন দুলাল, গুনাইবিবি, এজিদ বধ জয়নাল উদ্ধার যাত্রাপালা মঞ্চস্থ হচ্ছে।
আলাপকালে যাত্রা শিল্পীরা জানান, জুলাই বিপ্লবের পর স্থবিরতা কাটিয়ে উঠতে পূর্বের ন্যায় শিল্পের সব শাখায় প্রাণচাঞ্চল্য ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যেই এ যাত্রা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন যাত্রার পরিবেশনা দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন নানা বয়সী নারী-পুরুষ ও শিশুরা। এমন উদ্যোগ অব্যাহত থাকলে সব অপসংস্কৃতি দূর হবে বলে মনে করছেন শিল্পীরা।
জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার তানজিলা আক্তার জানান, যাত্রাপালায় অশ্লীল গান নৃত্য পরিবেশিত করানোর ফলে সুস্থ ধারার যাত্রাপালা হারাতে বসেছিল। কিন্তু বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি যাত্রা শিল্পের দায়িত্ব নিয়ে লাইসেন্স দিয়েছে এ শিল্পটাকে টিকিয়ে রাখার জন্য। গ্রাম বাংলার লোকঐতিহ্য এ যাত্রা হচ্ছে নাটকের একটি নাইট্টিক রূপ। যাত্রার যে উচ্চবাচ্চ সুর এই সুরেই মানুষ গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে ছড়িয়ে যায়। এ লক্ষ্যকে বাস্তবায়ন করতেই বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। যাতে পুনরায় যাত্রাপালায় দর্শক ফিরে আসেন। আমাদের এমন আয়োাজন ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
পরবর্তীতে লোকনাট্য উৎসব এবং জেলা পর্যায়েও যাত্রাপালার আয়োজন করা হবে বলেও জানান তিনি।
দেশকন্ঠ/এআর