দেশকন্ঠ অনলাইন : চরের মেহনতী মানুষের জীবন ও প্রকৃতির খেয়ালিপনার বিভিন্ন দিক নিয়ে আ. মা. ম. হাসানুজ্জামানের ‘বেদনার বালু চরে’ গল্প অবলম্বনে মাসুম রেজার চিত্রনাট্যে নির্মাতা সোহেল রানা বয়াতি নির্মাণ করেছেন তার প্রথম চলচ্চিত্র ‘নয়া মানুষ’। গত ০৬ ডিসেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় চলচ্চিত্রটি এবং দর্শকদের প্রশংসা পায়।
সারাদেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে বিকল্প প্রদর্শনীর ঘোষণা দেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নাট্য সংসদ এর আয়োজনে টি এস সি অডিটোরিয়ামে আগামী ২৫ ডিসেম্বর দুপুর ২ টায় ও বিকেল ৪ টার প্রদর্শনী দিয়ে এই বিকল্প প্রদর্শনীর শুরু হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলোতে প্রদর্শনী করা হবে।
নয়া মানুষের কাহিনীকার আ. মা. ম.হাসানুজ্জামান বলেন ‘ নয়া মানুষ এর গল্পে আমরা মানুষের যে আত্নীক সম্পর্ক তথা মানবিক দায়িত্ব তা তুলে ধরতে চেয়েছি কারণ এই বিষয়টি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারলে তাদের আত্নীক ও মানবিক দায়িত্বগুলো সম্পর্কে তারা সচেতন হবেন। তাই সিনেমাটা সবার দেখা উচিৎ।’
বিকল্প প্রদর্শনী নিয়ে নির্মাতা সোহেল রানা বয়াতি বলেন, ‘দেশের একটা বিশাল অংশের মানুষ বিভিন্ন কারণে সিনেমা হল বিমুখ, পরিবারের সবাইকে নিয়ে সিনেমা দেখার দীর্ঘদিনের অভ্যাস ত্যাগ করেছেন । কিন্তু নয়া মানুষ পরিবারের সবাইকে নিয়ে বিশেষ করে বাচ্চাদের নিয়ে দেখার মত সিনেমা, সিনেপ্লেক্সে সিনেমা দেখাটা ব্যয়বহুল যা বহন করার সামর্থ্য অনেকের নেই তাই আমরা এই বিকল্প প্রদর্শনীর মাধ্যমে “নয়া মানুষ” গণমানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চাই, তাদের সিনেমা দেখানোতে অভ্যস্ত করতে চাই।
’
কমল চন্দ্র দাসের চিত্রগ্রহণে চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করছেন রওনক হাসান, মৌসুমী হামিদ, আ. মা. ম. হাসানুজ্জামান, আশীষ খন্দকার, ঝুনা চোধুরী, নিলুফার ওয়াহিদ, বদরুদ্দোজা, স্মরণ সাহা, শিখা কর্মকার, মাহিন রহমান, মেহারান সানজানা, পারভীন পারু, মেরি ও শিশুশিল্পী ঊষশী প্রমুখ।
দেশকন্ঠ/এআর