দেশকন্ঠ অনলাইন : যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলের শিশুদের বিষয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে জাতিসংঘ। সম্প্রতি বিশ্বের নানা প্রান্তে বেড়েছে যুদ্ধবিগ্রহ। সঙ্গে বেড়েছে শিশুদের প্রতি সহিংসতা। এর নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। বিশ্বে প্রতি পাঁচজনের একজন শিশু যুদ্ধের ভয়াবহতার শিকার।
সম্প্রতি এমন সতর্ক বার্তা দিয়েছে জাতিসংঘ।
শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের প্রধান কার্যনির্বাহী ক্যাথরিন রাসেল যুদ্ধবিদ্বস্ত শিশুদের নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ইউনিসেফের ইতিহাসে ২০২৪ সাল যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলের শিশুদের জন্য এক ধ্বংসাত্মক বছর। তিনি আরও বলেন, নিরাপদ অঞ্চলে থাকা শিশুদের তুলনায় যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলের শিশুদের অপুষ্টিতে ভোগা ও শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হওয়ার সংখ্যা অনেক বেশি।
সম্প্রতি কমবয়সী মহিলা এবং মেয়েদের ওপর ক্রমবর্ধমান নির্যাতনের বিষয়টিও সামনে এনেছে ইউনিসেফ।
২০২৪ সালে আফ্রিকার দেশ হাইতি’তে নারী নির্যাতন বেড়েছে প্রায় এক হাজার গুণ।
ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বে ৪৭ কোটি ৩০ লাখ শিশু যুদ্ধের ভয়াল থাবার সম্মুখীন। যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সর্বোচ্চ। ১৯৯০ সালের পর থেকে যুদ্ধবিধ্বস্ত শিশুর সংখ্যা দ্বিগুণ আকার ধারণ করেছে। ২২ হাজার ৫৫৭ জন শিশুর বিরুদ্ধে ঘটে যাওয়া ৩২ হাজার ৯৯০টি মারাত্মক সহিংসতার ঘটনা প্রামাণ্য আকারে উপস্থাপন করেছে জাতিসংঘ।
উল্লেখ্য, গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহত কমপক্ষে ৪৫ হাজার মানুষের মধ্যে শতকরা ৪৪ শতাংশই শিশু। গাজায় বর্তমানে তীব্র মানবিক সংকট চলছে। খাবার, নিরাপদ পানি, বাসস্থান ও চিকিৎসা সেবার তীব্র সংকটে গাজা উপত্যকা। জুলাই-এ সেখানে মহামারি আকার ধারণ করে পোলিও।
যদিও এমন প্রতিকূল পরিস্থিতি উপেক্ষা করে গাজায় প্রায় ৯০ শতাংশ শিশুর কাছে টিকা পৌঁছে দেয় জাতিসংঘ।
তাছাড়া রাশিয়া ২০২৪ সালের প্রথম নয় মাসে ইউক্রেনে যে নৃশংসতা চালিয়েছে, তাতে যে পরিমাণ শিশু আক্রান্ত হয়েছে তাদের সংখ্যা ২০২৩ সালে আক্রান্ত শিশুদের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে। গাজা ছাড়াও বিশ্বের ৪০ শতাংশ যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকার শিশুরা তীব্র মানবিক সংকটে আছে এমন তথ্যও দিয়েছে জাতিসংঘ।
দেশকন্ঠ/এআর
আমাদের কথা
ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।