• মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১  নিউইয়র্ক সময়: ১২:৪৩    ঢাকা সময়: ২২:৪৩

হাওরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে সূর্যমুখী চাষ

দেশকন্ঠ অনলাইন : হাওরের কৃষিতে এসেছে নতুন মাত্রা সূর্যমুখী চাষ। আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য চাষ হচ্ছে সূর্যমুখী, নেত্রকোনার হাওরাঞ্চলে গত দু’বছর ধরে তিন কৃষক চাষ করছেন সুর্যমুখী। পরীক্ষামূলক এ চাষে যেমন লাভবান হচ্ছেন তেমনি মানুষ সৌন্দর্য উপভোগ করতে ছুটে যাচ্ছে দিগন্ত বিস্তৃত হাওরে। একবার ধান চাষ করার পর লম্বা সময় পতিত থাকে হাওরের কৃষি জমি,সে জমি কিভাবে ভিন্নভাবে কাজে লাগানো যায় সে ধারণা মাথায় রেখে কাজ করে যাচ্ছেন কৃষকরা।

জানা গেছে, জেলার হাওরাঞ্চল মদন মোহনগঞ্জ খালিয়াজুরীর মধ্যে মদন উপজেলার অন্যতম গোবিন্দশ্রী হাওর। দিগন্ত বিস্তৃত হাওরে পতিত পড়ে থাকতো কৃষকের অনেক জমি। এসকল জমিতে ধানের  পাশাপাশি  মিষ্টি কুমড়া চাষ করা শুরু হয়েছে বেশ কয়েক বছর ধরে। ভূট্টা চাষও হয় বিভিন্ন রবি শস্যের পাশাপাশি। কিন্তু সূর্যমুখী চাষের প্রচলন এখনো হয়নি। তবে গত বছর থেকে তিনজন কৃষক একসঙ্গে তিন কাঠা জমিতে শুরু করেছেন সুর্যমূখী চাষ। মদন থেকে খালিয়াজুরী বা মোহনগঞ্জ যাওয়ার জন্য ডুবন্ত সড়ক গোবিন্দশ্রী হাওরের বুক চিরে বয়ে গেছে। এদিক দিয়েই যেতে হয় আরো একটি হাওর  উপজেলা খালিয়াজুরী। যে কারনে সূর্যমূখীর সৌন্দর্য দেখতে ভিড় জমান পথচারীরা।

মদন উপজেলার উদ্যোক্তা কৃষক বুলবুল আহমেদ। তারা তিন বন্ধু মিলে গত বছর তিনকাঠা জমিতে ফলিয়েছিলেন সূর্যমুখী। কাঠা প্রতি সংগ্রহ  করেন ৮ লিটার তৈল। উৎসাহ পেয়ে  এবছর তারা ৮ কাঠা জমিতে করেছেন এ চাষ। আশা করছেন ফলনও ভালো হবে।এদিকে দেখতে আসা পথচারী এবং সৌন্দর্য পিপাসুরা  স্বীকার করেছেন ভেতরে গিয়ে অনেকেই গাছ নষ্ট করে। তাই তারা এখন জরিমানার ভয়ে অনুমতি নিয়েই ভেতরে প্রবেশ করেন। সাইনবোর্ডে লিখা থাকায় এবং জরিমানার পরিমাণ বেশি থাকায় এবছর মেনে চলছেন  সবাই।

কৃষক বুলবুল আহমেদ জানান, মানুষ দেখে খুশি হয় আমাদেরও ভালো লাগে। কিন্তু জমিতে ঢুকে পড়লে জমির ফসল নষ্ট হয়। সব সময় দাঁড়িয়ে থেকে দেখা সম্ভব হয় না। তাই গাছ ভাঙ্গলে বা ফুল ছিড়লে দুই হাজার টাকা জরিমানা ও বিনা অনুমতিতে প্রবেশে এক হাজার টাকা। এখন কেউ আর না জিজ্ঞেস করে ঢুকে না। তিনি আরও বলেন, কৃষি বিভাগ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে বীজ দিয়েছিলো আমরা সেগুলো ছিটিয়ে দিয়ে যত্ন নিয়েছিলাম। এতে প্রতি কাঠায় আমরা আট লিটার তেল পেয়েছি। এটি একটি লাভজনক ফসল বলেও দাবি করেন তিনি। তাই এবছর আরো পাঁচ কাঠা জমি বাড়িয়ে চাষ করেছেন। আগামীতে আরও বাড়তে পারে জমির পরিমাণ।  মাত্র আড়াই মাসে ফলন হওয়ায় বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এ ফুলের চাষ।
দেশকন্ঠ/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।