দেশকন্ঠ অনলাইন : বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজে শিক্ষক সংকটে নিরসনের দাবিতে কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা করেছে শিক্ষার্থীরা। এই কর্মসূচির তৃতীয় দিনও অচলাবস্থা বিরাজ করছে ক্যাম্পাসে। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) কলেজের প্রশাসনিক ও ছাত্র শাখার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। কলেজের প্রধান দুটি গেট তালাবদ্ধ রয়েছে। গেট দুটিতে শাটডাউন লেখা ব্যানার সাটিয়ে দেওয়া হয়েছে।এর আগে সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করে শিক্ষার্থীরা।
প্রতিদিনের মতো আজ বুধবার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মস্থলে আসলেও কোনো কার্যক্রমই পরিচালনা করতে পারেননি। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে অংশ নিতে দেখা যায়নি। এতে ক্যাম্পাসের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, কলেজে চলমান শিক্ষক সংকট নিরসনের দাবি না মানা পর্যন্ত তাদের এ আন্দোলন চলবে। আর কলেজ প্রশাসন বলছে, তারা বিষয়টি মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দফতরকে জানিয়েছেন, তারা উদ্যোগ না নিলে মেডিকেল কলেজের শূন্য পদে শিক্ষক পদায়ন সম্ভব নয়।
এর আগে শিক্ষক সংকট দূরের দাবিতে সোমবার শিক্ষার্থীরা প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা করে। কলেজের প্রশাসনিক শাখা জানিয়েছে, কলেজে শিক্ষকদের ৩৩৪টি পদের মধ্যে ১৪৬টি পদে শিক্ষক রয়েছে। বাকি ১৮৮ পদ শূন্য রয়েছে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, দেশের অন্যতম প্রধান চিকিৎসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজে শিক্ষক সংকটের কারণে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। বর্তমানে কলেজে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক না থাকায় অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটছে। কিছু বিভাগে শিক্ষক সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। এতে মেডিকেল শিক্ষার্থীরা মানসম্মত ক্লাস ও প্রশিক্ষণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
শিক্ষার্থীরা আরও বলছেন, অবিলম্বে মেডিকেল কলেজের সব ডিপার্টমেন্ট এ শূন্য পদগুলোতে শিক্ষক পদায়ন করতে হবে। পাশাপাশি অবিলম্বে কমিউনিটি মেডিসিন, মাইক্রোবায়োলজি, প্যাথোলজি ও অন্যান্য ডিপার্টমেন্টের বদলিকৃত শিক্ষকদের তাদের স্ব-পদে পুনরায় পদায়ন করতে হবে। শেবাচিম অধ্যক্ষ ফয়জুল বাশার বলেছেন, শিক্ষার্থীদের এই দাবি যৌক্তিক এবং তাদের দাবিগুলো নিয়ে মন্ত্রণালয়ে কথা বলেছি। দ্রুত সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
দেশকন্ঠ/এআর
আমাদের কথা
ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।