দেশকন্ঠ অনলাইন : ইসরাইলি বিমান হামলায় মঙ্গলবার গাজা উপত্যকাজুড়ে ২৬ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর গাজায় যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে মিশরীয় মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে ‘নতুন ধারণা’ নিয়ে আলোচনা করতে কায়রোর উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে হামাসের একটি প্রতিনিধিদল। হামাসের একজন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।হামাসের ওই কর্মকর্তা বলেন, যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর লক্ষ্যে প্রতিনিধিদল নতুন ধারণা নিয়ে আলোচনা করতে মিশরীয় মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে বৈঠক করবে। এতে নেতৃত্ব দেবেন হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা খলিল আল-হাইয়া।দুই মাসের যুদ্ধবিরতি ভেঙে গত ১৮ মার্চ ইসরাইল পুনরায় গাজায় বিমান ও স্থল হামলা শুরু করে। এখনো পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার কোনো অগ্রগতি হয়নি।
গাজায় এখনো যারা জিম্মি অবস্থায় আছে, তাদের মুক্তি দিতে গত সপ্তাহে ইসরাইলের সর্বশেষ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে হামাস।সম্প্রতি ইসরাইলে নবনিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক হাকাবি হামাসকে গাজায় মানবিক সাহায্য প্রবেশের বিনিময়ে ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিতের আহ্বান জানান। এ আহ্বানের একদিন পরই হামাস নতুন করে আলোচনার তৎপরতা শুরু করছে। হাকাবি এক ভিডিও বিবৃতিতে বলেছেন, যদি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হয়, তাহলে আমরা আশা করি, মানবিক সাহায্য অবাধে প্রবাহিত হবে। এটি আমাদের সকলের জন্য একটি জরুরি বিষয়। ইসরাইল নতুন হামলা শুরুর আগে ২ মার্চ গাজায় সমস্ত সাহায্য বন্ধ করে দেয়। হামাস ফিলিস্তিনিদের জন্য পাঠানো সাহায্য ভিন্নখাতে প্রবাহিত করেছে বলে অভিযোগ করে ইসরাইল। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে হামাস।
ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থা-ইউএনআরডব্লিওএ’র প্রধান ফিলিপ লাজারিনি মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ বলেছেন, গাজা হতাশার ভূমিতে পরিণত হয়েছে। ক্ষুধা ছড়িয়ে পড়ছে এবং তা গভীরতর হচ্ছে। এটা ইচ্ছাকৃত ও মানবসৃষ্ট। মানবিক সাহায্য দর কষাকষির একটি যন্ত্র ও যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। গত ১৯ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র ও মিশরকে সাথে নিয়ে কাতার ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে গাজায় একটি সাময়িক যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে মধ্যস্থতা করে। এ যুদ্ধবিরতি জিম্মি ও বন্দিদের বিনিময়ের পাশাপাশি গাজায় সাহায্যের পরিমাণ বৃদ্ধি করতেও সক্ষম হয়। কিন্তু পরবর্তী পর্যায়ের শর্তাবলি নিয়ে মতবিরোধ দেখা দেওয়ায় সেই যুদ্ধবিরতি ভেঙে যায়।
দেশকন্ঠ/এআর
আমাদের কথা
ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।