দেশকন্ঠ ডেস্ক : সাইবার নিরাপত্তায় যেকোনো অপারেশনের কাজ সম্পাদন করাকে চ্যালেঞ্জিং বলে মনে করেন এশিয়া প্যাসিফিক এবং জাপানের ৯৩ শতাংশ প্রতিষ্ঠান। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান সফোসের ‘দ্য স্টেট অব সাইবারসিকিউরিটি ২০২৩: দ্য বিজনেস ইমপ্যাক্ট অব অ্যাডভারসেরিস অন ডিফেন্ডারস’ প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।সাইবার হামলার ঘটনায় একটি আক্রমণ কীভাবে ঘটেছে সেটি বুঝে ওঠাই খুব কঠিন হয়ে পড়ে। সমীক্ষায় ৭৬ শতাংশ বলেন, একটি আক্রমণের মূল কারণ চিহ্নিত করা অনেক দুরূহ কাজ। এর ফলে সঠিক প্রতিকারের সমাধানটিও জটিল হয়ে যায়। এমনকি একই বা ভিন্ন হামলাকারী দ্বারা সংস্থাগুলো আবারো হুমকির শিকার হতে পারে। অথবা একাধিক আক্রমণের ঝুঁকিতেও তারা পড়তে পারে। সময়মতো সাইবার হামলা প্রতিকারের ক্ষেত্রে এমনটাই হয়ে থাকে বলে জানিয়েছে জরিপের ৭১ শতাংশ অংশগ্রহণকারী। এছাড়া ৭৪ শতাংশ মনে করেন, কোন সতর্কতাটি বা আশঙ্কাটি খতিয়ে দেখা উচিত সেটি বুঝে ওঠাও কঠিন একটি বিষয়। আর এক্ষেত্রে এর তদন্ত করার কাজটিকেই চ্যালেঞ্জিং বলে ভাবেন জরিপের ৭১ শতাংশ প্রতিষ্ঠান।
জরিপে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ৫০ শতাংশ বলেছে, সাইবার হামলাগুলো এতটাই উন্নত হয়েছে যে, তাদের সংস্থার পক্ষে এটি মোকাবিলা করা এখন খুব কঠিন। ৬৩ শতাংশ চায় আইটি দলগুলো যেন ফায়ারফাইটিং এর পরিবর্তে কৌশলগত বিষয়গুলোর পেছনে আরও বেশি সময় দেয়। ৫৫ শতাংশ বলেন, আইটি দলের সাইবার হুমকিতে ব্যয় করা সময় তাদের অন্যান্য প্রকল্পগুলোর কাজেও প্রভাব ফেলে। ৯৪ শতাংশ বলেন যে তারা তাদের কার্যক্রমকে উন্নত করার জন্য বহিরাগত বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কাজ করেন। কিন্তু এর বেশিরভাগ কার্যক্রম সম্পূর্ণ আউটসোর্স পদ্ধতি গ্রহণের পরিবর্তে হুমকি মোকাবিলার কাজেই জড়িত হয়ে পড়ে। সফোসের ফিল্ড সিটিও জন শিয়ের বলেন, ‘আজকের সাইবার হামলার জন্য প্রয়োজন একটি সময়োপযোগী এবং সমন্বিত পদক্ষেপ। কিন্তু বেশিরভাগ সংস্থাই শুধু প্রতিক্রিয়াশীল রীতিতেই আটকে আছে। জরিপের অর্ধেক অংশগ্রহণকারীই মনে করেন এই পরিস্থিতি শুধুমাত্র মূল ব্যবসায়ের ওপর প্রভাব ফেলছে না, বরং যারা সারারাত জেগে সাইবার হামলার জন্য মানসিক শ্রম দিচ্ছে তাদেরও ব্যাপক ক্ষতি করছে। অনুমান নির্ভর কাজ না করে অ্যাকশনেবল ইনটেলিজেন্স বা বুদ্ধিমত্তার ওপর ভিত্তি করে ডিফেন্সিভ কন্ট্রোল প্রয়োগ করতে হবে। আর এর মাধ্যমে আইটি দলগুলো আক্রমণ বন্ধের চেষ্টার পরিবর্তে ব্যবসাকে এগিয়ে নেয়ার দিকে মনোযোগ দিতে পারবে।’
দেশকন্ঠ/এআর
আমাদের কথা
ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।