• বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১  নিউইয়র্ক সময়: ০৩:১৩    ঢাকা সময়: ১৩:১৩

সমুদ্রের নিচে ৪০ হাজার কিলোমিটারজুড়ে বসবে মেটার ক্যাবল

দেশকন্ঠ অনলাইন : মেটার মালিকানাধীন জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম। ব্যবহারকারীদের সুবিধার্থে একের পর এক নতুন নতুন সুবিধা নিয়ে হাজির হয় প্রতিষ্ঠানটি। সেই ধারাবাহিকতায় এবার বড় রকমের সুবিধা নিয়ে আসছে মেটা।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম দ্যা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এর প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপের মালিকানাধীন মার্ক জাকারবার্গের প্রতিষ্ঠান মেটা সারা বিশ্বজুড়ে বিস্তৃত একটি সাবসিয়া কেবল নির্মাণের পরিকল্পনা করছে। বিশ্বজুড়ে ডেটা ট্রাফিকের বিস্তার বাড়ানোর জন্য সমুদ্রে প্রায় ৪০ হাজার কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের একটি ক্যাবল স্থাপন করার পরিকল্পনা করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

টেকক্রাঞ্চ-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেটা একটি ফাইবার-অপটিক কেবল স্থাপন করতে যাচ্ছে যার দৈর্ঘ্য হবে ৪০ হাজার কিলোমিটারের বেশি। প্রাথমিক পর্যায়ে প্রকল্পটির জন্য প্রায় ২ বিলিয়ন বিনিয়োগ করা হবে। তবে কাজ সম্পন্ন হলে এর চূড়ান্ত খরচ প্রায় ১০ বিলিয়নে পৌঁছাতে পারে। তবে মেটার মতো একটি বড় কোম্পানির জন্য এটি খুব বেশি খরচ নয়।

প্রতিবেদন অনুসারে, প্রকল্পের পরিকল্পনা ইতোমধ্যে তৈরি করা হয়েছে। তবে বাজেট নিয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। প্রকল্পের রুট, ধারণক্ষমতা এবং এর পেছনের কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য ২০২৫ সালের শুরুর দিকে প্রকাশ করবে মেটা।

এতে আরও উল্লেখ করা হয়, কেবলটি পুরোপুরি কার্যকর হতে কয়েক বছর সময় লাগতে পারে। সাবমেরিন কেবল শিল্পের বিশ্লেষক রানলফ স্কারবরো জানিয়েছেন, বর্তমানে কেবল জাহাজগুলো অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং কয়েক বছরের জন্য আগাম কন্ট্রাক করা রয়েছে।

যদি এই প্রকল্প সফল হয় তবে এটি মেটাকে বিশ্বব্যাপী ডেটা প্রেরণ এবং গ্রহণের জন্য একটি নির্ধারিত রুট দেবে।

ধারণা করা হচ্ছে, কেবলটি যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূল থেকে শুরু হয়ে ভারতের মধ্য দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা, তারপর অস্ট্রেলিয়ার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলে শেষ হবে।

উল্লেখ্য, মেটার মালিকানাধীন বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক। এই প্ল্যাফর্মে রয়েছে কয়েকশে কোটি ব্যবহারকারী। প্রায় সববয়সী মানুষই ব্যবহার করছেন এই প্ল্যাটফর্ম। ছবি, ভিডিও, টেক্স কনটেন্ট স্ট্যাটাস পোস্ট দেন বহু মানুষ।
দেশকন্ঠ/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।