দেশকন্ঠ অনলাইন : লক্ষ্য ছিল আকাশচুম্বি। জবাবটাও আসল সেভাবে। ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ছড়াল রোমাঞ্চ, উত্তেজনা, উন্মাদনা। দুই দলের হাইভোল্টেজ ম্যাচের পর শেষটা হেসেছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত।
দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১১ রানে হারিয়ে চার ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে তারা। ভারত আগে ব্যাটিংয়ে নেমে তিলক ভার্মার ৫৬ বলে ১০৭ রানে ২১৯ রানের পুঁজি পায়। জবাবে ক্লাসেনের ২২ বলে ৪১ ও জানসেনের ১৭ বলে ৫৪ রানের ঝড়ো ইনিংসে লক্ষ্যের একেবারে কাছাকাছি চলে যায় প্রোটিয়ারা। কিন্তু জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলা হয়নি তাদের।
শেষ ১২ বলে যখন ৫১ রান লাগত দক্ষিণ আফ্রিকার তখন বোলিংয়ে আসেন হার্দিক পান্ডিয়া। ওই ওভারে দুই ছক্কা, তিন চার ও এক ডাবলসে ২৬ রান তুলে নেন জানসেন। শেষ ওভারে লক্ষ্য নেমে আসে ২৫ রানে। মনে হচ্ছিল সেঞ্চুরিয়নে নায়ক হয়ে যাবেন জানসেন।
মুখোমুখি প্রথম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে দেশের হয়ে ১৬ বলে দ্বিতীয় দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়েন। কিন্তু ডানহাতি ব্যাটসম্যান তৃতীয় বলে এলবিডব্লিউ হলে ম্যাচটা ভারতের কাছে চলে যায়। শেষ দিকে স্নায়ু স্থির রেখে পেসার আর্শদ্বীপ দলের জয় নিশ্চিত করেন।
এর আগে ভারতের ব্যাটিংয়ে সব আলো তেড়ে নেন তিলক। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ৮ চার ও ৭ ছক্কায় ৫৬ বলে ১০৭ রান করেন ১৯১.০৭ স্ট্রাইক রেটে। রান খরায় থাকা অভিষেক শর্মা ২৫ বলে ৫০ রান করেন ৩ চার ও ৫ ছক্কায়। সানজু সামস্যান টানা দ্বিতীয় ডাকের পর দ্বিতীয় উইকেটে তিলক ও অভিষেক জুটি গড়েন। ১০৭ রান করেন তারা। শেষ দিকে হার্দিকের ১৮ ও অভিষিক্ত রামানদ্বীপের ১৫ রানে ভারত ২১৯ রানের পুঁজি পায়
বল হাতে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সিলেলানে ও মহারাজ ২টি করে উইকেট নেন।
লক্ষ্য তাড়ায় শুরুর ১০ ওভারে ৮৪ রান তুলতে ৪ উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। সেখান থেকে ক্লাসেন, মিলার ও জানসেন তাদের লড়াইয়ে রাখেন। ক্লাসেন ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৪১ রান করেন। মিলার ১৮ রান করেন ১টি করে চার ও ছক্কায়। ৩১৭.৬৫ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করা জানসেন গড়ে দেন ব্যবধান। ৫ ছক্কা ও ৪ চার হাঁকান চোখের পলকে। কিন্তু দলকে জয়ের স্বাদ দিতে পারেননি।
টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ের শীর্ষ বোলার আর্শদ্বীপ ৩৭ রানে ৩ উইকেট নিয়ে দলের সেরা বোলার হয়েছে। ২ উইকেট পেয়েছেন বরুণ চক্রবর্তী।
১৫ নভেম্বর জোহানেসবার্গে হবে সিরিজের ফয়সালা।
দেশকন্ঠ/এআর