দেশকন্ঠ অনলাইন : বিশ্ব ফুটবলের এক বিস্ময় লামিন ইয়ামাল। একের পর এক রেকর্ড গড়ছেন স্পেনের তরুণ এই ফুটবলার। দেশটির ক্লাব বার্সেলোনার বর্তমানের এক ভরসার নাম। চোটের কারণে চার সপ্তাহ বাইরে ছিলেন এই উইঙ্গার। এই সময়ে লা লিগায় তিন ম্যাচ খেলে স্রেফ একটি পয়েন্ট পায় বার্সেলোনা। তাদের খেলা ছিল একদমই ছন্নছাড়া। তবে, চোট কাটিয়ে মাঠে ফিরতেই দুর্দান্ত ছন্দে ফিরেছে কাতালান ক্লাবটি।
মায়োর্কার বিপক্ষে স্কোরশিটে নাম নেই লামিনের।পাঁচ-পাঁচটি গোল করেছে বার্সেলোনা, এর একটিও আসেনি ইয়ামলের পা থেকে। কোচের চোখে তবু তিনিই নায়ক! চোট কাটিয়ে ফেরা তরুণকেই ম্যাচ জয়ের বড় কৃতিত্ব দিলেন বার্সেলোনা কোচ হান্সি ফ্লিক।
চোট কাটিয়ে ইয়ামাল ফিরতেই যেন ভোজবাজির মতো বদলে গেল সব। রেয়াল মায়োর্কাকে তাদের মাঠেই ৫-১ গোলে বিধ্বস্ত করল ফ্লিকের দল।
ইয়ামাল করেছেন কেবল ১ অ্যাসিস্ট। তবে মাঠে তার উপস্থিতিই যেন ফর্মে থাকা রাফিনিয়া কিংবা দানি অলমোকে করলো অনেকখানি নির্ভার। বার্সেলোনাও মায়োর্কার মাঠ থেকে ফিরেছে অসাধারণ এক জয় নিয়ে। প্রেসিং ফুটবলের চূড়ান্ত রূপ দেখিয়ে ৫-১ গোলে জয় পেয়েছে কাতালুনিয়ার দলটি। চারটি গোল করেছে তারা দ্বিতীয়ার্ধে।
শুরুতে ফেররান তোরেস সফরকারীদের এগিয়ে দেন। দানি ওলমোর পায়ে লেগে যাওয়া বল বক্সের ভেতর ক্লিয়ারের চেষ্টায় বড় রকমের ভুল করে ফেলেন মায়োর্কার এক ডিফেন্ডার। আলগা বলে শট নেন ফেররান, গোলরক্ষকের চেষ্টার পরেও জালে জড়ায় বল। ২০ মিনিটের মাঝেই আরও দুবার গোলের সুযোগ ছিল বার্সার। কিন্তু হতাশ হতে হয় তাদের।
৪৩তম মিনিটে সমতা ফেরায় মায়োর্কা। বার্সার অফসাইড ট্র্যাপ ভেঙ্গে স্বাগতিক সমর্থকদের আনন্দের উপলক্ষ্য এনে দেন মারিকি। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ফের এগিয়ে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি রাফিনিয়া। মায়োর্কার গোলরক্ষকের কারণে হতাশ হতে হয় তাকে।
৫৬ মিনিটে ইয়ামালকে বক্সে মায়োর্কার এক ডিফেন্ডার ফেলে দিলে পেনাল্টি। স্পটকিক থেকে নিজের গোলের খাতা খোলেন রাফিনিয়া। বার্সা অধিনায়ক পরের গোল পেয়ে যান ৭৪ মিনিটে।
৫৩তম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে রাফিনিয়ার ফ্রি-কিক ব্যর্থ করে দেন গোলরক্ষক। তিন মিনিট পরই অবশ্য সফল স্পট-কিকে দলকে আবার এগিয়ে নেন রাফিনিয়া। ৭৪তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলে ব্যবধান বাড়ান বার্সা অধিনায়ক। ইয়ামালের পাস পেয়ে বল জালে জড়ান তিনি।
বদলি হিসেবে নামার দুই মিনিট পরই জালের দেখা পান ফ্রেংকি ডি ইয়ং। বক্সে আরও একবার মায়োর্কার ডিফেন্ডারের ভুল। তারই সুযোগ নিয়ে ব্যবধান বাড়ান ডাচ মিডফিল্ডার। ৮৪তম মিনিটে দলের পরের গোলেও অবদান রাখেন তিনি। তার পাস থেকেই গোল করে বড় জয় নিশ্চিত করেন পাও ভিক্টর।
১৬ ম্যাচে ১২ জয় ও এক ড্রয়ে বার্সেলোনার পয়েন্ট হলো ৩৭। দুই ম্যাচ কম খেলে ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ। বার্সেলোনার সমান ১৬ ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে ছয় নম্বরে আছে মায়োর্কা।
দেশকন্ঠ/এআর