• বুধবার, ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬ মাঘ ১৪৩১  নিউইয়র্ক সময়: ১৫:০৭    ঢাকা সময়: ০১:০৭

স্পেসএক্সের মিশনে বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে প্রশ্ন

দেশকন্ঠ অনলাইন : বিলিয়নিয়ার ইলন মাস্কের স্পেস ভেঞ্চার স্পেসএক্স-এর একটি মিশনে সেপ্টেম্বর মাসে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত এক ঘণ্টার জন্য গ্রাউন্ড কন্ট্রোল বা মিশন পরিচালনার ক্ষমতা হারিয়ে যায়। এই মিশনটি ছিল ঐতিহাসিক, কারণ এটিতে প্রথমবারের মতো বেসরকারি মহাকাশচারীদের স্পেসওয়াক অন্তর্ভুক্ত ছিল।

পাঁচ দিনের পোলারিস ডন মিশনের অংশ হিসেবে এই স্পেসওয়াক পরিচালিত হয়। এতে নেতৃত্ব দেন জারেড আইজাকম্যান, যিনি একজন বিলিয়নিয়ার ও ইলন মাস্কের দীর্ঘদিনের অংশীদার। মিশন চলাকালীন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে স্পেসএক্স মিশন কন্ট্রোল ড্রাগন স্পেসক্রাফটের সঙ্গে কমান্ড ও কন্ট্রোল হারায়। তবে স্টারলিংক স্যাটেলাইটের মাধ্যমে আংশিক যোগাযোগ বজায় রাখা সম্ভব হয়।  

বিশেষজ্ঞরা বলেন, মিশন পরিচালকদের মূল দায়িত্ব হলো জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া। এই ধরনের বিভ্রাট নিরাপত্তার জন্য বড় উদ্বেগের বিষয়।

স্পেসএক্সের এই বিভ্রাট নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি কোনো মন্তব্য করেনি। তবে এই ঘটনার ফলে ব্যক্তিগত স্পেস মিশনের নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী, ব্যক্তিগত স্পেস মিশনের জন্য কোনো নিরাপত্তা মানদণ্ড নির্ধারিত নেই এবং অপ্রীতিকর ঘটনাগুলো প্রকাশ করার বাধ্যবাধকতাও নেই।  

একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, এই ধরনের ঘটনা সম্পর্কে প্রকাশ্যে জানানো উচিত, যাতে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি এড়িয়ে চলতে পারে।

জারেড আইজাকম্যান সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কর্তৃক নাসার প্রশাসক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। এতে তার স্পেসএক্সের সঙ্গে থাকা ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং দায়িত্বে স্বার্থের সংঘাতের প্রশ্ন উঠে আসছে।  

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, স্পেসএক্সের মতো প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকা ব্যক্তিদের সরকারি সংস্থায় গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা উচিত কি না, তা নতুন করে ভাবার সময় এসেছে।  

বিদ্যুৎ বিভ্রাটের এই ঘটনা স্পেসএক্স এবং ব্যক্তিগত স্পেস মিশনের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে আলোচনা উসকে দিয়েছে। এই শিল্পে স্বচ্ছতা ও নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা আরও স্পষ্ট হচ্ছে।
দেশকন্ঠ/এআর

 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।