• শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১  নিউইয়র্ক সময়: ১৫:৪৫    ঢাকা সময়: ০১:৪৫

ছোটবেলায় ‘হিটলার’ ছিলেন সোহিনী

  • বিনোদন       
  • ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫       
  • ২৪
  •       
  • A PHP Error was encountered

    Severity: Notice

    Message: Undefined offset: 1

    Filename: public/news_details.php

    Line Number: 60

    Backtrace:

    File: /home/teamdjango/public_html/deshkontho.com/application/views/public/news_details.php
    Line: 60
    Function: _error_handler

    File: /home/teamdjango/public_html/deshkontho.com/application/controllers/Public_view.php
    Line: 72
    Function: view

    File: /home/teamdjango/public_html/deshkontho.com/index.php
    Line: 315
    Function: require_once

দেশকন্ঠ অনলাইন : স্কুলজীবন শেষ করে কলকাতার লরেটো কলেজে উচ্চশিক্ষা নিয়েছেন টালিউড অভিনেত্রী সোহিনী গুহ রায়। এরপর পর একটি বেসরকারি কোম্পানির এইচআর-এর ভূমিকা থেকে সোজা টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে। তবে তার মনের বারান্দায় এখনো ঘুরপাক খায় কোচবিহারের সেন্ট মেরিস স্কুলে কাটানো দিনগুলো। স্মৃতিচারণায় আবেগে ভাসলেন সোহিনী। স্মৃতিচারণে বললেন নানা কথা-

প্রাতিষ্ঠানিক জীবন:

কোচবিহারে স্কুল শেষ করে কলকাতায় আসা। ছোটবেলার স্মৃতি বলতে স্কুলের সরস্বতী পুজা, লক্ষ্মীপুজা, দুর্গাপুজা, ভ্যালেন্টাইনস ডে, সপ্তাহ শেষে বন্ধুদের সঙ্গে কাটানো সময় এসব বেশ মজার ছিল। বাবা প্রচণ্ড কড়া ছিলেন। রাতে ঘোরাঘুরি করা পছন্দ করতেন না বলে বন্ধুরা ‘হিটলার’ বলতো। স্কুল জীবনই ‘দ্য বেস্ট টাইম অফ মাই লাইফ’। কোচবিহারে নাচের স্কুল, গানের স্কুল, ড্রইং শিখতে যাওয়া এগুলো মধুর স্মৃতি।

কলকাতা:

কলকাতায় এসেছি দশ বছরের বেশি হয়ে গিয়েছে। প্রথমবার একা পা রাখার অনুভূতি অন্য রকম ছিল। এখন অনেক পালটে গিয়েছে। কোচবিহারও পালটেছে। লোকজন বেড়েছে। নতুন স্কুল, কোম্পানি, প্রচুর শপিং মল হয়েছে। জীবনের গতি পালটেছে। অনেক উন্নত হয়েছে।

স্কুল ও কলেজের সেরা স্মৃতি:

সেন্ট মেরিস কো-এড স্কুল। শান্তই ছিলাম। তাও টুকটাক দুষ্টুমি করেছি। লরেটো কলেজ স্কুলের মতোই ছিল। ভীষণ ডিসিপ্লিন্ড। সেখানে থেকে মিসচিফ করা একটু ‘ডেয়ারডেভিল’ ব্যাপার। তাও বন্ধুদের সঙ্গে টুকটাক ক্লাস ফাঁকি, বাইরে খাওয়া-দাওয়া হয়েছে। গার্লস কলেজে থেকে এতটা মজা করব ভাবিনি।

জীবনের সবচেয়ে কঠিন মুহূর্ত:

কঠিন পরিস্থিতি জীবনে আসবেই। স্ট্রাগল করে সেই উচ্চতায় বা পজিশনে পৌঁছনো উচিত। না হলে জীবনের স্বাদ নেই। তিন বছর স্ট্রাগল করেই চাকরি করেছি। তার পর ইন্ডাস্ট্রিতে। কঠিন মুহূর্ত কবে বন্ধ হবে বলা কঠিন।

অভিনয়ের শুরু:

ছোটবেলায় নাচ-গান শিখেছি। স্বপ্ন ছিল টিভিতে মুখ দেখানোর। কিন্তু সেই সুযোগটা কোচবিহারে তখন ছিল না। কলকাতায় আসার পরে সিরিয়ালের অডিশনের জন্য ফোন আসে। অডিশনে সিলেক্ট হই। ‘রেশম ঝাঁপি’ সিরিয়াল দিয়েই অভিনয় জগতের ইনিংস শুরু। ব্যক্তিগতভাবে বলব, আমি সিরিয়াল, সিনেমা, সিরিজ সবকিছুই করতে চাই। ভিন্ন চরিত্রে নিজেকে মেলে ধরা এবং চ্যালেঞ্জ নিতে আমার ভালো লাগে। আমার অভিনীত ‘ফলোয়ার্স’ এ মাসেই রিলিজ করছে।

টালিউডে পছন্দের অভিনেত্রী-অভিনেতা:

স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় ফেভারিট। ভীষণ ভার্সেটাইল। অভিনেতাদের মধ্যে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, কৌশিক সেন, অনির্বাণ ভট্টাচার্য। প্রথম দুজনের সঙ্গে আমি কাজ করেছি।

অভিনয়ে চ্যালেঞ্জিং:

অবশ্যই সিরিয়ালে চ্যালেঞ্জ বেশি। একটা চরিত্র দীর্ঘদিন ধরে করতে হয়। যেটা দুই, তিন এমনকি পাঁচ বছর পর্যন্ত ধরে করতে হয়। দীর্ঘদিন একই চরিত্র করলে নিজেদের মধ্যেও পরিবর্তন আসে। কিন্তু একই জায়গা ধরে রাখতে হয়।

ভালোবাসা দিবস যেভাবে কাটলো:

১৪ ফেব্রুয়ারি বাড়িতেই মা-বাবার সঙ্গে ভালো-মন্দ খেয়ে কাটালাম। কাজও ছিল। সেই সঙ্গে বেনামি কার্ড, গিফট, ফুলও এসেছে বাড়িতে। ফুলগুলোকে বাঁচিয়ে রেখে ঘর সাজাই। গিফট দিয়ে দিই অন্য কাউকে। বাঙাল বাড়ির মেয়ে আমি। ঝাল-তেল-মশলা দিয়ে মিশিয়ে মাটন, প্রন, ইলিশ রান্না বেশ পছন্দের।

সাম্প্রতিক প্রেমপত্র:

এখন প্রেমপত্র বলে কিছু নেই। ইনস্টাগ্রামে, ফেসবুকে প্রেমপত্রের মতো লিখে পাঠায়। বেশ মজা লাগে। কিছু মানুষ খুব গুছিয়ে লেখেন। প্রেমপত্রের সংজ্ঞাটা পালটে গেছে। স্কুলজীবনে একজনকে পছন্দ ছিল। কিন্তু সেটা প্রেম নয়, ওটা ওয়ান সাইডেড ভালো লাগা।
দেশকন্ঠ/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।