দেশকণ্ঠ প্রতিবেদন : ‘রাইস সল্যুশন’-এমন একটি মোবাইল অ্যাপস যা আক্রান্ত ধান গাছের ছবি দেখেই রোগ নির্ণয় করবে। কৃষিমন্ত্রী গাজীপুরে ব্রিতে অনুষ্ঠিত ছয় দিনব্যাপী বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ মোবাইল অ্যাপসটি উদ্বোধন করেছেন। উক্ত কর্মশালা উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম এবং ব্রির মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর।
ধানের রোগবালাই চিহ্নিতকরণের লক্ষ্যে ‘রাইস সল্যুশন’ (সেন্সরভিত্তিক ধানের বালাই ব্যবস্থাপনা) মোবাইল অ্যাপসটির যাত্রা শুরু। গবেষক ও কৃষক বান্ধব এই ডায়নামিক মোবাইল অ্যাপসটি আইসিটি বিভাগের ‘মোবাইল গেইম ও এ্যাপ্লিকেশনের দক্ষতা উন্নয়ন (২য় সংশোধিত)’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায়, ওয়ান আইসিটি নামক সফটওয়্যার কোম্পানির সহায়তায় ও ব্রির আইসিটি সেলের তত্বাবধায়নে তৈরি। রোগবালাই ও পোকামাকড় সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যার ছবি বা তথ্য অ্যাপসের মাধ্যমে ইনপুট হিসেবে প্রদান করা হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রেরিত ছবির মাধ্যমে সমস্যা নির্ণয় করে সঠিকতার হার নির্ধারণ করে ব্যবস্থাপনামূলক পরামর্শ দিবে এই অ্যাপসটি। ফলে কৃষক পর্যায়ে অ্যাপসটির মাধ্যমে সেবা প্রাপ্তিতে সময়, খরচ ও যাতায়াত সাশ্রয়সহ মাঠের সমস্যা মাঠেই সমাধান করা সম্ভব হবে। মূলত ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের অন্যতম প্রযুক্তি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মেশিন লার্নিং ও সেন্সর প্রযুক্তি ব্যবহার করে অ্যাপসটি তৈরি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রোগ ও পোকামাকড়ের ছবি প্রদানপূর্বক অ্যাপসের মাধ্যমে আক্রান্ত ধান গাছের রোগবালাই ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত পরামর্শমূলক সেবা প্রদান করা হচ্ছে। বাংলাদেশে পোকামাকড়ের আক্রমণসহ বিভিন্ন কারণে মোট ফসলের ১০-১৮ ভাগ উৎপাদন পর্যায়ে নষ্ট হয়ে যায়। সেই সঙ্গে কৃষকের সঠিক জ্ঞান না থাকায় এবং মাঠ পর্যায়ে আধুনিক ধান চাষে রোগ ও পোকামাকড় দমন ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত তথ্য আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে আধুনিক পদ্ধতির অপ্রতুলতা ও ফিডব্যাক ব্যবস্থা না থাকার কারণে কৃষক কাঙ্ক্ষিত ফলন না হওয়ায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ ও আগামীতে ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে খাদ্যের উৎপাদন বৃদ্ধিকল্পে প্রধানমন্ত্রীর সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। অ্যাপসটি ব্রি’র সকল আঞ্চলিক কার্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন এলাকার ছবি এই অ্যাপসে নিয়মিত সংযোজন হওয়ার কারণে এলাকাভিত্তিক ধানের ক্ষেত্রে কোনো পোকামাকড় বা রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি সেই অনুযায়ী বিজ্ঞানীদের গবেষণা কার্যক্রমে সহায়তা প্রদান করা হবে।
দেশকণ্ঠ/রাসু