• বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১  নিউইয়র্ক সময়: ২২:১২    ঢাকা সময়: ০৮:১২

প্রয়োজনে টাকা ছাড়াই ক্রিকেটে কাজ করতে চান রফিক

দেশকণ্ঠ অনলাইন : নিম্নবিত্ত পরিবার থেকে উঠে এসে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে আলোকিত করেছেন মোহাম্মদ রফিক। একজন খেটে খাওয়া ক্রিকেটার হিসেবে তার কাছ থেকে যতটা প্রত্যাশা ছিল তাকে সেভাবে ব্যবহার করা হয়নি। ক্লাব ক্রিকেটে কাজে লাগালেও অঅন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্রাত্য এই বাহাতি স্পিনিং অলরাউন্ডার। একসময় ছিলেন তারকা ক্রিকেটার। বাংলাদেশের ইতিহাস সেরা স্পিনারদের একজন মোহাম্মদ রফিক। কিন্তু অবসরের পর কিছুটা আড়ালেই চলে গিয়েছেন তিনি। অনেকসময়ই এ নিয়ে নিজের আক্ষেপের কথা শুনিয়েছেন রফিক। দেশের রাজনৈতিক পালাবদলের পর এখন পরিবর্তনের ডাক শোনা যাচ্ছে সবদিকে। ক্রীড়াঙ্গনও তার ব্যতিক্রম নয়। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও বেশ কয়েকজন বোর্ড পরিচালক গা ঢাকা দিয়েছেন। এই সময়েও বাংলাদেশের ক্রিকেটের পাশে দাঁড়াতে চান তিনি। রফিক বলেন, ‘এর আগে খারাপ সময়ে ছিলাম, এখন বাংলাদেশের ক্রিকেটের অবস্থা খারাপ তবে আমরা এখনও আছি। তারা যদি বলে আসেন আমাদের সাহায্য লাগবে তাহলে কিন্তু আমরা সাহায্যের জন্য বসে আছি। আমরা ক্রিকেটের খারাপ সময়েও আছি।’
 
বিসিবিতে এখন পরিবর্তনের কথা বলছেন অনেকে। দেশের অবস্থাও খুব একটা ভালো নয়। এর মধ্যে অক্টোবরে বাংলাদেশের মাটিতে হওয়ার কথা রয়েছে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এই টুর্নামেন্টের কথাও গুরুত্বের সঙ্গে বলেছেন রফিক। তিনি বলেন, ‘অক্টোবরে কিন্তু নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আমরা চাচ্ছি এই টুর্নামেন্টটা যেন বাংলাদেশেই হয়। তাই আমি মনে করি সেনা কর্মকর্তারা যত তাড়াতাড়ি এইখানে আসবে দেশের ক্রিকেটের জন্য তত ভালো হবে। এবং আইসিসি এই টুর্নামেন্টটা এইখানেই আয়োজন করার অনুমতি দেবে।’ ‘কত বড় একটা ঝামেলা হলো। তবে বিসিবিতে তো একটাও ঢিল মারেনি। আমরা সকলেই ক্রিকেটটা পছন্দ করি। তাই কিন্তু বিসিবির কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে আমি মনে করি, একজন পরিবর্তন হলে হবে না। পুরোটাই তার দল। ফলে পুরোটাই পরিবর্তন করা উচিত। তারা তো ছিল, দেখেন তারা কী করেছে ক্রিকেটের জন্য!’
 
বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা স্পিনার হিসেবে ক্রিকেট থেকে অবসরের পর ক্রিকেটের সঙ্গেই কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। দেশের ঘরোয়া লিগের পাশাপাশি কোচ হিসেবে দেখা গেছে বিপিএলেও। তবে বিসিবিতে উপেক্ষিতই থেকে গেছেন। একাধিকবার তাকে নিয়ে কাজ করার কথা বিসিবি জানালেও শেষ পর্যন্ত তেমন কিছু হয়নি। যে কারণে আফসোসও রয়েছে সাবেক এই ক্রিকেটারের। দেশ এখন পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। ক্ষমতার পালাবদলে স্বাভাবিকভাবে পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে ক্রিকেট বোর্ডেও। আর নতুন বোর্ডে যদি রফিককে কাজ করার সুযোগ দেওয়া তাহলে সেটি আনন্দের সঙ্গেই গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। রফিক নিজেকে নিয়ে তৈরির কথা বলেছেন এভাবে, ’সময়ের হিসেবে আমরা তো ৯০ সাল থেকে বোর্ডের সাথে আছি। ৯০ সালে যে হাহাকার ছিল এখনো সেই হাহাকার চলছে। যারা বোর্ডে বসবে তারা যদি মনে করে যে আমরা যারা সাবেক খেলোয়াড় আছি আমাদের এখন প্রয়োজন’।
 
রফিক আরও বলেন, ’আমি ছাড়াও পাইলট আছে, ফাহিম ভাই আছে বিকেএসপির, বুলবুল আছে যদি মনে করে যে আমাদের দরকার এই সময় আমরা দেশের হয়ে কাজ করার জন্য প্রস্তুত আছি’। আমাকে মাঠে কাজ দেন আমি এসির ভেতর থাকতে চাই না। আমি মাঠের লোক আমি মাঠে থাকতে চাই। আমার টাকা লাগবে না এখন যে অবস্থা টাকা লাগবে না। যারা নতুন অবস্থায় আসবে তাদের সাথে আমরা আছি যদি আমাদের দরকার মনে করে। অনেকবারই গণমাধ্যমে শোনা গেছে রফিককে কাজে লাগাতে আগ্রহী বিসিবি। তবে বাস্তবে তেমন কিছু ছিল না বলে জানালেন রফিক, ’কোনো অনুষ্ঠানে দেখা হলে বলতো যে, হ্যাঁ রফিক আসো। তারপর আর কোন কথা বলতো না, তারা তো ওখানে বলে যেত। আর আমি এরকম একটা ব্যক্তি আমি দুই নম্বারি পছন্দ করি না। সত্য মিথ্যা কথা কেন বলব, আমি কেন মিথ্যা কথা বলবো বলেন’। এখন কাজ করার সুযোগ থাকলে কোনো চিন্তা ছাড়াই প্রস্তুত আছেন বলে জানিয়েছেন রফিক। এদিকে পাপনের পদত্যাগ দাবিতে বিসিবিতে বিক্ষোভ হয়েছে।
 
দেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা বদলে যাওয়ার পর বিভিন্ন জায়গায় পদত্যাগের হিড়িক পড়েছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছাড়ার পর কমবেশি বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানেই রদবদল এসেছে। এবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডেও (বিসিবি) সংস্কার দাবি উঠেছে। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনসহ বেশ কয়েকজন বোর্ড পরিচালকের পদত্যাগের দাবিতে গত মঙ্গলবার দুই নম্বর গেটের সামনে জড়ো হন কিছু লোক। তাদের নেতৃত্বে ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার ও বিএনপি নেতা আমিনুল হক। এ সময় বিক্ষুব্ধরা বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে আসেন। তাতে খালেদ মাহমুদ সুজন, জালাল ইউনুস, ওবায়েদ রশিদ নিজামের মতো প্রভাবশালী পরিচালকদের পদত্যাগ চাওয়ার কথা লেখা ছিল। তাদের এই বিক্ষোভের সময় সেনাবাহিনীর একটি দল বিসিবি প্রাঙ্গনে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে। বিক্ষুব্ধরা ভাইরে বিভিন্ন শ্লোগান ও বক্তব্য দেন। তাদের সঙ্গে ছিলেন ক্রীড়া সংগঠক রফিকুল ইসলাম বাবু, তরিকুল ইসলাম টিটুরা। আগামী অক্টোবরে বাংলাদেশের মাটিতে হওয়ার কথা রয়েছে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। 
দেশকণ্ঠ//আসো
 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।