• মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ২৪ পৌষ ১৪৩১  নিউইয়র্ক সময়: ২৩:৩৯    ঢাকা সময়: ০৯:৩৯

চার ম্যাচ পর এ্যানফিল্ডের মাঠে ইউনাইটেডের প্রথম পয়েন্ট

  • ক্রীড়া       
  • ০৬ জানুয়ারি, ২০২৫       
  •       
  • ২২:৪৮:০৭

দেশকন্ঠ   অনলাইন :  টানা চার ম্যাচ পর অবশেষে প্রিমিয়ার লিগে পয়েন্ট পেয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। গতকাল এ্যানফিল্ডের ম্যাচে টেবিলের শীর্ষে থাকা স্বাগতিক লিভারপুলের জয়রথ থামিয়ে ২-২ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে রেড ডেভিলসরা।

এই মুহূর্তে ছয় পয়েন্ট এগিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে রয়েছে লিভারপুল। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আর্সেনালের তুলনায় আর্নে স্লটের দল এক ম্যাচ কমও খেলেছে।

যদিও পিছিয়ে পড়েও কোডি গাকপো ও মোহাম্মদ সালাহর পেনাল্টিতে ৭০ মিনিটে ২-১ ব্যবধানের লিড নিয়েছিল স্বাগতিক লিভারপুল।

ম্যাচ শেষে স্লট বলেছেন, ‘অবশ্য দুই পয়েন্ট হারানো মোটেই সুখকর কোন বিষয় নয়।’

প্রথমার্ধ গোলশুন্য থাকার পর লিসান্দ্রো মার্টিনেজের গোলে ইউনাইটেড এ্যানফিল্ডে ছয় বছরের গোলখরা কাটিয়েছিল। ৮০ মিনিটে আমাদ দিয়ালোর গোলে সমতা ফেরানোর পর অনেকটাই আধিপত্য দেখিয়ে ম্যাচ শেষ করা ইউনাইটেডের জন্য এই ম্যাচে জয়টাও প্রাপ্য ছিল।

এই এক পয়েন্টে টেবিলের ১৩তম স্থানে উঠে এসেছে ইউনাইটেড। রেলিগেশন জোন থেকে সাত পয়েন্ট উপরে রয়েছে রুবেন আমোরিমের দল।

ইউনাইটেড অধিনায়ক ব্রুনো ফার্নান্দেস বলেছেন, ‘আমি কিছুটা হতাশ। লিভারপুলে যদি আমরা এই মানের পারফরমেন্স দেখাতে পারি তবে অন্য কোথাও নয় কেন। এই পারফরমেন্সে আমি সত্যিই সন্তুষ্ট। এবারের মৌসুমে এর থেকেও ভাল কিছু আমাদের করে দেখাতে হবে।’

এই ম্যাচের আগে স্লট খেলোয়াড়দের সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন টেবিলের নীচের দিকে থাকলেও এ্যানফিল্ডে ইউনাইটেড মোটেই ছেড়ে কথা বলবে না, বাস্তবে হয়েছেও সেটাই।  

সোমবার নিউক্যাসলের কাছে ২-০ গোলের হার কোনভাবেই মেনে নিতে পারেনি ইউনাইটেড সমর্থকরা। এই হারের পর ম্যানেজার রুবেন আমোরিম ঘোষনা করতে বাধ্য হয়েছিলেন ইউনাইটেড রেলিগেশন লড়াইয়ে পড়েছে।

নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফার্নান্দেস ও ম্যানুয়েল উগার্তের দলে ফেরা নি:সন্দেহে আমোরিমের হাতকে শক্তিশালী করেছে। এছাড়াও মূল দলে ফিরেছেন কোবি মেইনু।  

প্রথমার্ধে সবচেয়ে ভাল সুযোগটি পেয়েছিল স্বাগতিকরা। গোডি গাকপোর শট থেকে এ্যালেক্সিস মার্ক এ্যালিস্টারের ভলি কোনমতে পা দিয়ে রক্ষা করেন ইউনাইটেড গোলরক্ষক আন্দ্রে ওনানা। ইউনাইটেড আক্রমনভাগের ধার বাড়াতে কিছুটা সময় নিয়েছে। তবে বিরতির আগে তাদের অবশ্যই এগিয়ে যাওয়া উচিৎ ছিল। রাসমাস হোলান্ড প্রথমার্ধের সবচেয়ে সহজ সুযোগটি হাতছাড়া করেন। লিভারপুল রক্ষনভাগকে পরাস্ত করলেও শেষ পর্যন্ত গোলবার সামলানোর দায়িত্বে থাকা এ্যালিসন বেকার হোলান্ডকে সফল হতে দেননি।
৫২ মিনিটে অবশ্য মার্টিনেজ কোন ভুল করেননি। জোড়ালো শটে তিনি ইউনাইটেডকে এগিয়ে দেন। এবারের মৌসুমে এটি তার দ্বিতীয় গোল।

গোল হজমের পর এ্যানফিল্ডের সমর্থকরা কিছুটা বিচলিত হয়ে পড়ে। ইউনাইটেড অবশ্য খুব বেশীক্ষন এই লিড ধরে রাখতে পারেনি। ৫৯ মিনিটে ডাচ স্ট্রাইকার গাকপো ওনানাকে পরাস্ত করে লিভারপুলকে সমতায় ফেরান। ১৫ ম্যাচে এটি গাকপোর ১০ম গোল। এরপর মার্ক এ্যালিস্টারের হেড পেনাল্টি এরিয়ার মধ্যে মাথিয়াস ডি লিটের হাতে লাগলে ভিএআর প্রযুক্তি লিভারপুলকে পেনাল্টি উপহার দেয়। স্পট কিক থেকে লো শটে লিভারপুলকে এগিয়ে দেন ইন-ফর্ম সালাহ। ১৯ লিগ ম্যাচে এটি সালাহর ১৮তম গোল।

নতুন বস আমোরিমের অধীনে আলেহান্দ্রো গারাঞ্চোর ভূমিকা নিয়ে সম্প্রতি প্রশ্ন উঠেছে। যদিও ৮০ মিনিটে এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের সহায়তায় দিয়ালোর গোলে গুরুত্বপূর্ণ এক পয়েন্ট উপহার পায় ইউনাইটেড। স্টপেজ টাইমে জসুয়া জিরকির পাস থেকে হ্যারি ম্যাগুয়েরে ইউনাইটেডের শেষ সুযোগটি নষ্ট করেন।
দেশকন্ঠ/এআর

 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।