• শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২  নিউইয়র্ক সময়: ০২:৫১    ঢাকা সময়: ১২:৫১

কৃষকের হাতকে বিএনপি আরও শক্তিশালী করবে : তারেক রহমান

দেশকন্ঠ  অনলাইন : বিএনপি কৃষকের হাতকে আরও শক্তিশালী করবে বলে জানিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৃহস্পতিবার ‘বিশ্ব খাদ্য দিবস’ উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি বলেন, বাংলাদেশের শক্তি সব সময় ছিল সেই হাতেই, যারা এই মাটিকে চাষ করে। বিএনপি সেই হাতগুলোকে আরও শক্তিশালী করবে। যাতে তারাই আগামী বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারে। একটি অনিশ্চয়তায় ভরা বিশ্বে বাংলাদেশ প্রমাণ করতে পারে– খাদ্য নিরাপত্তা, টেকসই উন্নয়ন ও কৃষকের মর্যাদা কোনো দূরবর্তী স্বপ্ন নয়, বরং বাস্তবায়নযোগ্য লক্ষ্য।

তারেক রহমান বলেন, নতুন প্রযুক্তি, জ্ঞান ও দৃঢ় সংকল্পের মাধ্যমে বিএনপি একটি অংশীদারিত্বভিত্তিক খাদ্য ব্যবস্থার স্বপ্ন দেখে। আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা মডেল কৃষককে সম্মান দেয়, উদ্ভাবনকে গ্রহণ করে এবং বৈশ্বিক দায়বদ্ধতা দাবি করে, পুষ্টিসমৃদ্ধ বাংলাদেশ ক্ষুধা ও অনিশ্চয়তার এই বিশ্বে উদাহরণ হতে পারে।

এ বিষয়ে উল্লেখযোগ্য ছয়টি পরিকল্পনার কথা জানান তারেক রহমান। সেগুলো হলো– কৃষকের কার্ড উদ্যোগ, জলবায়ু সহনশীল কৃষি ও পানি নিরাপত্তা, পানি-সংরক্ষণমূলক কৃষি, পুষ্টি ও মানব উন্নয়ন, কৃষিভিত্তিক অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন এবং পরিবেশ ও টেকসই উন্নয়ন।

তারেক রহমানের পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রত্যেক কৃষক পাবেন একটি নিরাপদ ডিজিটাল পরিচয়পত্র, যার মাধ্যমে তারা মধ্যস্বত্বভোগী ছাড়াই সরাসরি ভর্তুকি, ন্যায্য দাম, ঋণ, ফসল বীমা ও সরকারি ক্রয় সুবিধা পাবেন। ২০ হাজার কিলোমিটার নদী ও খাল পুনরুদ্ধার এবং সম্প্রদায়ভিত্তিক সেচ ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন করা হবে। পানির প্রবাহ সুরক্ষিত রাখতে আধুনিক তিস্তা ও গঙ্গা ব্যারাজ নির্মাণ করা হবে।

তারেক রহমান বলেন, আমাদের উদ্যোগগুলো কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত খাতে কোল্ডস্টোরেজ লজিস্টিক্স থেকে শুরু করে রপ্তানিমুখী খাদ্যশিল্প পর্যন্ত ১৩ লাখ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যখন নেতৃত্বে আসেন, তখন দেশজুড়ে চলছিল দুর্ভিক্ষ। তিনি জানতেন, খাদ্য নিরাপত্তা ছাড়া জাতীয় স্বাধীনতার কোনো অর্থ নেই। তাঁর নেতৃত্বে সেচ সম্প্রসারণ, খাল পুনঃখনন এবং বহুবর্ষজীবী ফসল চাষের মাধ্যমে বাংলাদেশ আত্মনির্ভরতার পথে যাত্রা শুরু করে। যে জাতি একসময় দুর্ভিক্ষ দেখেছিল, সেই জাতিকে তিনি খাদ্যে স্বনির্ভরতার পথে নিয়ে যান।
দেশকন্ঠ/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।